আলামত ধ্বংসের দায়ে রাজীবের সহযোগীকে ৩ মাসের কারাদণ্ড

পিবিএ,ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা তারেকুজ্জামান রাজীবের সহযোগী (পিও) সাদেককে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাজীবের মোহাম্মদপুরের বাসার সব আলামত ধ্বংস ও কাজে অসহযোগিতার দায়ে তাকে কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার (২০ অক্টোবর) ভোর রাতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দেন।

এদিকে, রাজীবের মোহাম্মদপুর কার্যালয়, বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ৫ কোটি টাকা চেক বই পেয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব জানায়, শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাজধানীর ভাটারার একটি বাড়ি থেকে কাউন্সিলর রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাত সোয়া ১টার দিকে কাউন্সিলর রাজীবকে নিয়ে মোহাম্মদপুরে তার নিজ বাসায় অভিযান শুরু করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোর চারটার দিকে বাসায় মোটামুটি অভিযান শেষ করে রাজীবকে নিয়ে তার অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে র‌্যাব-২ ছাড়াও র‌্যাব-১ এবং র‌্যাব সদর দফতরের একাধিক টিম কাজ করছে। দুই অভিযান থেকে কী কী পাওয়া গেছে তা এক জায়গায় করে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। মূলত সন্ত্রাসবাদ, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির মতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।

জানা গেছে, মোহাম্মদপুরে যুবলীগ দিয়েই শুরু রাজীবের রাজনৈতিক জীবন। মাত্র এক বছরের রাজনীতি করেই বাগিয়ে নেন মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ। এ পদ পেয়েই থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করেন। সে সময় যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, রাজীব মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে উল্টো ঢাকা মহানগরী উত্তর যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বনে যান। কেন্দ্রীয় যুবলীগের আলোচিত দফতর সম্পাদক আনিসুর রহমানকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে এ পদ কেনেন রাজীব।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাউন্সিলর নির্বাচন করার আগে রাজনীতির পাশাপাশি এক চাচাকে কাজকর্মে সহযোগিতা করতেন। ওই চাচা ঠিকাদারি করতেন। নির্বাচনের সময় তার ওই চাচা একটি জমি বিক্রি করে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে তাকে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে সহযোগিতা করেন। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এখন ওই চাচার সঙ্গেও যোগাযোগ নেই। অভিযোগ রয়েছে, রাজীবের নির্দেশেই যুবলীগ কর্মী তছিরকে হত্যা করে রাজীবের ঘনিষ্ঠরা।

এছাড়া, মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ, বসিলার পরিবহনে চাঁদাবাজি রাজীবের নিয়ন্ত্রণে। অটোরিকশা, লেগুনা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বাস থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তোলে তার লোকজন। পাঁচ বছর ধরে এলাকার কোরবানির পশুর হাটের ইজারাও নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন রাজীব।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...