হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে ভারত

পিবিএ ডেস্ক: এবার আরও একধাপ এগিয়ে আরও দ্রুতগতির ও উন্নত হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। শব্দের গতির চেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন হলে তাকে সুপারসনিক বলা হয়। আর শব্দের গতির চেয়ে পাঁচগুন বেশ গতি হলে তাকে বলে হাইপারসনিক।

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে প্রাথমিক প্রযুক্তিগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ফেলেছে দেশটির ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।

শিগগিরই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

ডিআরডিওর বরাত দিয়ে ভারতীয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, দীর্ঘদিন ধরে এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিআরডিও-র এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, একটি হাওয়ার গহ্বর তৈরি করে প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি বিষয় সুনির্দিষ্ট মাত্রায় নির্ধারিত করার পর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, ‘উন্নত যুদ্ধাস্ত্র ব্যবস্থার অন্যতম হচ্ছে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তি। সেটা নিয়ে খুব গভীরভাবে গবেষণা হয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, শব্দের গতির চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন হলে তাকে সুপারসনিক বলা হয়। ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র এই প্রযুক্তিতেই তৈরি। কিন্তু হাইপারসনিকের অর্থ শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি গতিসম্পন্ন। মাইলের এককে ধরলে প্রতি সেকেন্ডে এক মাইলেরও বেশি গতিতে ছুটতে পারে এই হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র।

দেশটির প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বর্তমানে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিএমবি) চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটতে পারলেও হাইপারসনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ খুব সহজ। শত্রুপক্ষও এর অবস্থান কার্যত ধরতেই পারে না। আর কার্যকারিতাও ব্রহ্মসের মতোই বহুমুখী হবে।

তিনি বলেন, ভূমি, আকাশ এবং যুদ্ধজাহাজ তিন প্ল্যাটফর্ম থেকেই ছোড়া যাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সক্ষম হবে পরমাণু অস্ত্র থেকে শুরু করে রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্র বহনে।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...