পিবিএঃ সম্প্রতি বিশ্ব গণমাধ্যমে ঘুরেফিরে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যদিও সংবাদটি প্রকাশের পরপরই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছিলেন, ‘সিরিয়ার তেলের খনিগুলোর রক্ষায় কিছু সংখ্যক সেনা অঞ্চলটিতে রেখে দেওয়া হতে পারে।’
সোমবার (২১ অক্টোবর) এক বক্তৃতায় তিনি দাবি করেন, ‘সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা তেল ক্ষেত্রগুলো যাতে দায়েশ (আইএস) কিংবা অন্য কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর দখলে চলে না যায়; সে বিষয়টি তদারকি করতে অঞ্চলটিতে আমাদের দুইশ সেনা মোতায়েন রাখা হবে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অঞ্চলটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সকল সেনা প্রত্যাহার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। মূলত ট্রাম্পের সেই ঘোষণার পরপরই উত্তর সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর সবুজ সংকেত হিসেবে গ্রহণ করে তুরস্ক।
যার অংশ হিসেবে তুর্কি কর্তৃপক্ষ অঞ্চলটিতে তৎপর কুর্দি বিদ্রোহীদের দমনের একের পর এক আগ্রাসন শুরু করে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় যাবত সেখানে তুরস্কের অভিযান পরিচালিত হয়। যদিও বর্তমানে সেখানে যুদ্ধবিরতি চলছে।
এ দিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে যুক্তরাষ্ট্র আদৌ তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে কি না; এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছিল। ঠিক তখনই সেখানে ২০০ সেনা রাখার ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসপার।
অপর দিকে বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার তেল সম্পদের ওপর খোদ মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের লোলুপ দৃষ্টির বিষয়টি গোপন রাখতে পারেননি। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছিলেন, ‘সিরিয়ার তেলক্ষেত্রগুলোর ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কুর্দি গেরিলাদের সঙ্গে এরই মধ্যে ওয়াশিংটনের একটি গোপন সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে।’
পিবিএ/এমআই