পিবিএ,ডেস্ক: মুহিউদ্দিন ফাহাদ, রংপুরের একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তার নাম। পড়ছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রফেশনাল এম. বি. এ কোর্সে। সময়টা ছিল ২০১৬ সাল, ফাহাদ তখন রংপুর কারমাইকেল কলেজে তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করতেন।
বাংলাদেশ সরকারের স্কিলস ফর ইমপ্লোয়েমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইআইপি) আওতায় গ্রাফিক ডিজাইনের ওপরে ছয় মাসের একটি কোর্স করেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালের শুরুর দিকে সরকারের আরেকটি প্রোগ্রাম এলইডিপি প্রজেক্টের আওতায় গ্রাফিক ডিজাইনের ওপরে আরেকটি কোর্স করেন ফাহাদ।
পরে তিনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পর এক বছরের মধ্যে তার মাসিক গড় উপার্জন ৭০০-৮০০ ডলারের মতো আসতে শুরু করে। তিনি অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভার ও টিস্পিরিংয়ে কাজ করেন। ফাহাদ ফাইভারের লেভেল টু সেলার। এছাড়াও তিনি এলআইসিটি থেকেও প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। আজ তিনি একজন সফল গ্রাফিক ডিজাইনার ও ফ্রিল্যান্সার।
শুরুটা কেমন ছিল?
২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফাহাদ পরিকল্পনা করতে শুরু করেন কীভাবে অন্যদেরকে ফ্রিল্যান্সিং শেখানো যায়। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রংপুরের কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ছোট্ট একটি কামরার একটা অফিস নিয়ে শুরু করেন তার প্রতিষ্ঠিত ইন্সপায়ার্ড আইটির। সে সময় দিনে দুটো করে ব্যাচ পড়াতেন। ধীরে ধীরে এখানেও সফলতা আসতে শুরু করে। এ বছরের জুনে ছোট্ট সেই অফিস ছেড়ে দিয়ে বড় একটি অফিস নেন ফাহাদ। কর্মচারীও নিয়োগ দিয়েছেন ছয় জনকে। এতদিন একাই চালাতেন তিনি।
ফাহাদের লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে এক হাজার জনকে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া। যার মধ্যে ৬০০ জন পুরুষ ৩০০ জন নারী ও ১০০ জন প্রতিবন্ধী। তার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে ১৫০ জন যার মধ্যে ৫০ জনই প্রতিষ্ঠিত গ্রাফিক ডিজাইনার ও ফ্রিল্যান্সার এবং অনেকে লোকাল মার্কেটে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন। তিনি তার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নারীদেরকে কোর্স মূল্যের ৫০ শতাংশ ছাড়ে এবং অসচ্ছল ও প্রতিবন্ধীদের কোনোরকম ফি ছাড়াই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। তার স্বপ্ন তরুণদেরকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলে বেকারমুক্ত সমাজ গড়ার।
তরুণদের উদ্দেশে ফাহাদ বলেন, আমি সবসময় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ, সরকারের অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধিতে। তিনি আরও বলেন, যেকোনো কাজে হতাশ না হয়ে জোর প্রচেষ্টা চালাতে থাকলে সফলতা আসবেই্প।
পিবিএ/এমএ