শীতের শুরুতে খান আমলকি

পিবিএ ডেস্ক: শীতে আমাদের বাড়তি যত্নের দরকার। আমলকি যদি শীতের শুরুতে খেতে পারেন তবে মুক্তি পাবেন বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে। আসুন জেনে নেই আমলকির ৭টি উপকারিতা –
১. গলার ব্যথা কমে – আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে নিয়মিত এক গ্লাস আমলকির রসে পরিমাণ মতো আদা এবং মধু মিশিয়ে খেলে গলার ব্যথা তো কমে, কফ এবং সর্দি-কাশির প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই ঠাণ্ডা-গরম পরিস্থিতিতে গলা ব্যথা শুরু হলে আমলকির রসকে কাজে লাগাতে দেরি করবেন না।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – আমলকিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনো রোগ ধারেকাছে ঘেষতে পারে না। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।

৩. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি – কম্পিউটার মোবাইল ব্যবহার করার কারণে চোখের বারোটা বেজে যায়। তাই রোজকার ডায়েটে আমলকি থাকা অবশ্যই জরুরি। আসলে এই ফলে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন খেল দেখায় যে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে চোখ থেকে পানি পরা, চুলকানি এবং চোখ ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৪.হজম ক্ষমতার উন্নতি – নিয়মিত যদি অনেক পরিমাণ আমলকি খেতে পারেন, তাহলে বদহজম নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হবে না। কারণ এই ফলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার। এটি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. সংক্রমণের আশঙ্কা কমে – ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে মজবুত করে দেয় যে কোনো জীবাণু সেই দেয়াল ভেদ করে শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন কমে তেমনি আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশির ভয় দূর হয়।

৬. ডায়াবেটিস – আমলকিতে ক্রোমিয়াম নামে একটি উপাদান থাকে, যা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার সুযোগ পায় না।

৭.ক্যানসার প্রতিরোধ – ক্যানসারের মতো দূরারোগ্য রোগ প্রতিরোধে আমলকি কাজ করে। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের বের করে দিয়ে ক্যানসার সেলের জন্ম যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়।

পিবিএ/বাখ

আরও পড়ুন...