পিবিএ ডেস্ক: লেবননের মতো সরকার পতন হচ্ছে ইরাকেও। প্রাণঘাতী চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি। দেশটির প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ এক ঘোষণায় এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি নতুন নির্বাচনী আইন তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। বলেছেন, আইনটি পাস হলে আগাম নির্বাচনের আয়োজন করবে সরকার। মাহদির পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। দেশটির দু’জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষমতাসীন মাহদিকে গদিচ্যুত করার উদ্যোগ নিলেও ইরান তা প্রতিহত করছে। উভয় পক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মাহদিকে ক্ষমতায় রাখতে তেহরান সব ধরনের সহযোগিতা করছে। খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার এক ভাষণে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেন ইরাকি প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা যেসব দাবি জানিয়েছে সেগুলো পূরণে নতুন আইন পাস করতে হবে। তিনি আরও জানান, পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। তার জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের জন্য নতুন কাউকে খুঁজে পাওয়া গেলেই তিনি পদত্যাগ করবেন। টিভিতে প্রচারিত এক ঘোষণায় সালিহ বলেন, পদ থেকে সরে দাঁড়াতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যদি ক্ষমতাসীন জোট সংবিধান ও আইন মেনে তার বিকল্প কাউকে নির্বাচিত করে তাহলে তিনি নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন দলের সঙ্গে ইরাকের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আইন পাসে বৈঠক ও আলোচনা করছি। আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে একটি নির্বাচনী আইন উপস্থাপন করা হবে। আগামী সপ্তাহে ইরাকের পার্লামেন্টে নতুন নির্বাচনী আইন উত্থাপন করা হবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট সালিহ। বলেন, ইরাকের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শলাপরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিক্ষোভরত জনতার ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সহিংস আচরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। বলপ্রয়োগ করে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না উল্লেখ করে ইরাকের প্রেসিডেন্ট বলেন, আইনি কাঠামোর আওতায় সব অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে এবং যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও তিনি জানান। বেকারত্ব, নিুমানের জনসেবা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত মাসের শুরু (১ অক্টোবর) থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় ইরাকে। সহিংস এই বিক্ষোভে প্রাণ হারায় বহু মানুষ। বিক্ষোভকারীরা রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনেন।
পিবিএ/বাখ