খাগড়াছড়িতে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা করছেনা ইটভাটার মালিকরা

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: পার্বত্য খাগড়াছড়িতে বন ও পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে ইটভাটায় পুড়ছে বনের কাঠ, ফসলি জমির মাটি ব্যবহার করে জনবহুল এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে অধিকাংশ ইটভাটা। ফলে মারাত্মক ঝুকিতে রয়েছে পাহাড়ের পরিবেশ। স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে পার্বত্য জেলার মানুষ।

২০১৮ সালে ইটভাটার সংখ্যা ৩২টি থাকলেও চলতি বছরে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়ন কাজের অযুহাতে এসব অবৈধ লাইসেন্স বিহীন ইটভাটার বিষয়ে কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। বেশির ভাগ ইটভাটায় চলছে টিনের ছিনমী ব্যবহার করে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ভাবে ঝুকিপূর্ণ।

স্থানীয়দের দাবী, ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় প্রভাব খাটিয়ে নীতিমালার কোন তোয়াক্কা করছেনা ভাটার মালিকরা। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা,সরকারী প্রতিষ্ঠানের সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় ফসলি জমি ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কিছু ইটভাটা। ফলে স্বাস্থ্য ঝুকি, ফসলি জমির স্বাভাবিক উৎপাদন হ্রাস ও বনের কাঠ পোড়ানোর ফলে পাহাড়ের পরিবেশ ধ্বংসের সম্মূখিন হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইটভাটার মালিক জানান, মোটা অঙ্কের অর্থের লেনেদেনসহ বিভিন্ন স্থানে ম্যানেজ করেই চলছে এসব ইটভাটা। ইটভাটা মালিকসমিতি রয়েছে তারাই এসব নিয়ন্ত্রণ করেন। তবে বর্তমান সময়ে প্রভাবশালীদের হস্থক্ষেপ না থাকলে ইটভাটা চালানো অসম্ভব বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

স্থানীয় বিশ্বস্ত একটি সূত্রের তথ্য মতে, চলমান ইটভাটার তালিকায় রয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ৭টি, মাটিরাঙ্গায় ১২টি,মানিকছড়িতে ২টি,গুইমারায় ৩টি,পানছড়িতে ৩টি,দীঘিনালায় ৪টি,রামগড়ে ৬টি ও মহালছড়িতে ১টিসহ মোট ৩৮টি ইটভাট। এর মধ্যে কোনটিরই নেই পরিবেশ ছাড়পত্রসহ বৈধ লাইসেন্স।

এ বিষয়ে ইটভাটা মালিক ও সমিতির সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজী হয়নি তারা।

পিবিএ/এএম/ইএইচকে

আরও পড়ুন...