পিবিএ,ঢাকা: দীর্ঘ ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের চার সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। আজ কৃষক লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষ হবে ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে। আজ সকাল ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
সাম্প্রতিক সময়ে সহযোগী সংগঠনগুলোর বিতর্কিত কার্যকলাপ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত থাকা, অর্থের বিনিময়ে গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে পদ-বাণিজ্যের কারণে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ পরিস্থিতিতে সংগঠনগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেন তিনি। অব্যাহতি দেয়া হয়েছে যুবলীগ চেয়ারম্যান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। নতুন কমিটিতে বিতর্কিত, অনুপ্রবেশকারীদের সংগঠনের কোনো পদে ঠাঁই না দেয়ার কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। সূত্রমতে, আগামী ২০-২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে আগামী ৩০ নভেম্বর একযোগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ৯ নভেম্বর শ্রমিক লীগ, ১৬ নভেম্বর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে আসছে নতুন মুখ। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ক্লিন ইমেজ, দক্ষ এবং বঞ্চিতদের দায়িত্ব দেয়া হবে। ৭ বছর পর সম্মেলনকে ঘিরে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা।
এ বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের চার সহযোগী সংগঠন, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসবে। এতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় থাকবে। নতুন কোনো কমিটিতে অনুপ্রবেশকারী ও দুর্নীতিবাজদের কোনো সুযোগ থাকবে না। প্রসঙ্গত, আগামী বছর মুজিববর্ষ উৎসবমুখর পরিবেশ পালন করা হবে বলে আসন্ন সম্মেলন গুলো ঘিরে এবার মঞ্চ সাজসজ্জার বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দেয়া হয়েছে কড়া নির্দেশনা।
পিবিএ/বাখ
