পিবিএ, ঢাকা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে অপসারণের বিষয়ে বলেছেন, ‘আমাকে কোনো তদন্তের ভেতর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। আমাকে কেউ কিছু জিজ্ঞাসাও করেনি, কোনো কিছুই করা হয়নি। তো এক বছর চার-পাঁচ মাস পরে হঠাৎ করে…তদন্তে তো আত্মপক্ষ সমর্থনেরও একটি জায়গা থাকে। কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা, সেটিও আমি জানি না।’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপন করে তাকে অপসারণ করা হয়।
ড. তুরিন আফরোজ বলেন, ‘বিষয়টি এখন আমাকে লিগ্যালি দেখতে হবে। প্রসিডিংটা কী হয়েছে, আসলে কী হলো, কারণ একটি তদন্ত হওয়ার কথা ছিল, সেটিই আমি জানি। তবে আজ পর্যন্ত কোনো তদন্তের জন্য আমাকে ডাকা হয়নি।’
প্রজ্ঞাপনে পেশাগত অসদাচরণ, শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা বলা হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তুরিন বলেন, ‘আমি তো আসলে জানি না, উনারা কি মিন করেছেন। এটি তো এক লাইনের লেখা। আমার জানা মতে, আমি কোনো অসদাচরণ করিনি, পেশাগত কোনো আইন ভঙ্গ করিনি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করে গেছি।’
তুরিন আফরোজ বলেন, ‘যেটি নিয়ে ডিসপিউট ছিল, সে ডিসপিউটের তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। এখন সে তদন্ত না হয়ে, আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে, যদি একপাক্ষিক একটি সিদ্ধান্ত হয় তাহলে তো আমার আইনগত অবস্থানটি আরেকবার বিবেচনা করে দেখতে হবে।’
তুরিন আরও বলেন, ‘আমাকে কেউ কিছুই এ পর্যন্ত জানায়নি। ৯ মে থেকে আজ পর্যন্ত এক বছরে একটিবারও আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কোনোরকম এক্সপ্লেনেশন, কোনো কিছুই জানতে চাওয়া হয়নি।
অভিযোগ উঠে, ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতারের আগে গত নভেম্বরে তুরিন আফরোজ প্রথমে তাকে টেলিফোন করে দেখা করার সময় চান। এর পর একটি হোটেলে ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেন তিনি।
তদন্ত সংস্থার সিনিয়র সমন্বয়ক সানাউল হক বলেছিলেন, তাদের টেলিফোনে কথা হয় গত বছরের ১৮ নভেম্বর। আর পর দিন ঢাকার অলিভ গার্ডেন নামে একটি রেস্তোরাঁর গোপন কক্ষে বৈঠকটি হয়। সেখানে তুরিন আফরোজ, তার সহকারী ফারাবি, আসামি ওয়াহিদুল হকসহ মোট পাঁচজন ছিলেন।
পিবিএ/জেডআই