পিবিএ, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলীয়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা জান্নাত আক্তারের ভোটার আইডি ব্যবহার করে ওই নারী বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেয়ার সময় রোহিঙ্গা তালিকায় তার নাম ও ছবি উঠলে সে ধরা পড়ে। পরে তাকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাকসুদুর রহমান জানান, বুধবার বেলা বারোটার দিকে সাটুরিয়া উপজেলার রেজাউল করিম তার স্ত্রী পরিচয়ে ওই নারীকে নিয়ে পাসপোর্ট করাতে আসেন। ওই রোহিঙ্গা নারী মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘলীয়া ইউনিয়নের বেংরোয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে জান্নাত আক্তার, জন্ম তারিখ ১০ই জুন ২০০০, দেখিয়ে একটি নাগরিক সনদ নিয়ে পাসপোর্ট ফরম দাখিল করেন। এসময় ওই নারীর কথা বার্তায় সন্দেহ হলে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিবন্ধিত সার্ভার যাচাই করে নিশ্চিত হন যে, তিনি প্রকৃতপক্ষে রোহিঙ্গা নারী। তার নাম আসমা। বাবা সিরাজুল হক। রোহিঙ্গা নিবন্ধিত নম্বর ১৪৩২০১৭১২১৩১৫৪৪১৫। তার জন্ম তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০০১। আসমা ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর চট্রগ্রামের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিবন্ধিত হয়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, রোহিঙ্গা ওই নারী দুই সপ্তাহ আগে চট্রগ্রাম থেকে রেজাউল করিমের সাভারের বাসায় যান। বুধবার তিনি ওই রোহিঙ্গা নারী, তার প্রকৃত স্ত্রী ও একটি কন্যা সন্তানসহ মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে যান।
এই কাজে সহযোগিতার অপরাধে রেজাউল করিম এবং পাসপোর্ট ফরমে স্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে সত্যায়ন করার অপরাধে মানিকগঞ্জ জজকোর্টের আইনজীবী মোঃ মনোয়ার হোসাইনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
নিজের পরিচয় আড়াল করে অন্যের পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট করার অপরাধে প্রচলিত আইনে ওই রোহিঙ্গা নারীর বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান
সিদ্দিকী।
পিবিএ/মিহির/জেডআই