বারান্দায় বা ছাদের টবে পেঁয়াজ চাষ করবেন কীভাবে?

বারান্দায় বা ছাদের টবে পেঁয়াজ চাষ করবেন কীভাবে?

পিবিএ ঢাকাঃ খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ একটি অপরিহার্য উপাদান। পেঁয়াজ সাধারনত মসলা হিসাবে ব্যবহৃত হলেও সবজি ও সালাদ হিসাবেও পেঁয়াজ ব্যবহার প্রচলিত আছে। পেঁয়াজ কেবল খাদ্যদ্রব্যকে আকর্ষণীয় ও খাদ্যের স্বাদই বৃদ্ধি করে না, খাদ্যের পুষ্টিগুনও বৃদ্ধি করে এবং এর ঔষধিগুনও অপরিসীম।

স্থান নির্ধারণ: বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন একটি স্থান বেছে নিন যেখানে প্রচুর আলো বাতাস পায়।

টব: পেঁয়াজ চাষের জন্য টব বা প্লাস্টিক অথবা কাঠের কনটেইনারও ব্যবহার করা যায়। মাঝারি সাইজের একটি টব বেছে নিন। প্লাস্টিকের বালতিতেও করতে পারেন। মাঝারি আকৃতির টবে ৫০টি পিয়াজ গাছের চাষ করা সম্ভব।

মাটি প্রস্তুত: উর্বর মাটি এবং পানি নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত টবে পেঁয়াজ চাষ করতে হবে। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য উত্তম। পেঁয়াজ সাধারণত ঠাণ্ডা জলবায়ুর উপযুক্ত ফসল। যদি পেঁয়াজ চাষ করার সময় তাপমাত্রা বেশি হয় তাহলে উক্ত পেঁয়াজ ঝাঁঝালো। তবে মনে রাখবেন এঁটেল মাটিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ করা যায় না। মাটি অবশ্যই উর্বর হতে হবে।

পেঁয়াজ তিনটি পদ্ধতিতে চাষ করা যায়

১) শল্ক কন্দ রোপণ করে।
২) সরাসরি বীজ বুনে।
৩) বীজতলায় বীজ বুনে চারা উত্তোলন করে তা রোপণ করে। বীজ হতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে অধিক ফলন হয়

ভাল বীজের বৈশিষ্ট্য তিনটি:

• ভাল বীজ হাত নিয়ে চাপ দিলে চাপ বসবে না। খারাপ বীজ হলে চাপ বসবে।
• মুখে নিয়ে দাঁত দিয়ে চাপ দিলে ভাল বীজ হলে ভেঙ্গে যাবে। খারাপ বীজ হলে চ্যাপ্টা হয়ে যাবে।
• পানিতে দিলে ভাল হলে পানিতে ডুবে যাবে। খারাপ হলে ভেসে উঠবে।

যত্ন: বিশেষ করে প্লাস্টিকে কন্টেইনার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া জন্য আগেই কন্টেইনারটিতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে পারেন।

ফসল তোলা: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আগাম চাষে সাধারণতঃ চারা রোপণের ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে এবং নাবী চাষে চারা রোপণের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ সংগ্রহের উপযোগী হয়ে যায়। পেঁয়াজ সংগ্রহের ১৫ থেকে ২০ দিন আগে গাছের ডগা ভেংগে দিলে ফলন ভাল পাওয়া যায়।

সংরক্ষণ: পেঁয়াজ ভালো করে শুকানোর পরে গুদামজাত করতে হয়। গুদাম ঠান্ডা ও বায়ু চলাচলের ব্যবস্থাযুক্ত হওয়া উচিত। গুদামে পরীক্ষা করে পচা ও রোগাক্রান্ত পেঁয়াজ বেছে সরিয়ে ফেলতে হয়।

পেঁয়াজের চাষ শুধু শীতকালেই হয় না এখন বর্ষাকালেও চাষ করা হচ্ছে। এটা টবে চাষের পদ্ধতি, তাই পোকা-মাকড় সংক্রমণ, বা চিকিৎসা ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...