চুয়াডাঙ্গার আদালতের মালখানায় মোটরসাইকেলের ভাগাড়

চুয়াডাঙ্গার কোট মালখানা ও পুলিশ লাইন

সনজিত কর্মকার, পিবিএ, চুয়াডাঙ্গা : হাজারো মোটরসাইকেলের স্তুপ। মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে বাইসাইকেল ও ব্যাটারী চালিত আটোরিকসাও রয়েছে স্তুপে। তবে এগুলো বিক্রয় বা প্রদর্শন নয়। বিভিন্ন অপরাধ সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে ব্যবহারের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হাতে জব্দ হওয়া এ গাড়ীগুলো। জব্দকৃত এসব যানবাহন সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।

পুলিশ জানায়, এসব গাড়ির বেশিরভাগই অপরাধের সাথে জড়িত। সঠিক কাগজপত্র না থাকায় যানবাহনগুলো নিলাম করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর থেকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব।

চুয়াডাঙ্গার কোট মালখানা ও পুলিশ লাইন

চুয়াডাঙ্গার কোট মালখানা ও পুলিশ লাইন গিয়ে দেখা গেছে, কয়েক শতাধিক মোটরসাইকেল, সাইকেল ও আটোরিক্সা রোদ-বৃষ্টিতে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে। যানবাহনগুলো বিভিন্ন নামি-দামি ব্যান্ডের। এরমধ্যে কোনটা সচল আবার কোনটা অচল। সরকারি মালখালায় বছরের পর বছর অযত্নে পড়ে থাকায় কিছু গাড়ির কাঠামো ও চেসিস ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই।

পুলিশ আরো জানায়, আইনি জটিলতার কারণে অনেক মালিকই ছাড়িয়ে নিতে পারেন না তার গাড়ি। তাই দিন-দিন এভাবে জমে গাড়ির স্তুপ তৈরী হয়েছে। আইন অনুসারে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ধ্বংসের বিধান নেই।

আইনজীবীদের মতে, আলামত সংরক্ষণ করতে গিয়ে সম্পদের ক্ষতি মেনে নেয়া যায় না। বিকল্প বের করার পরামর্শ তাদের।

চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন জানান, রাষ্ট্রীয় সম্পদ এভাবে অযত্নে -অবহেলায় পড়ে থাকার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট সবাই কাজ করার পরও কেন এর সুরাহা হচ্ছে না, তা বুঝতে পারছি না। দ্রুত এসব মামলা নিষ্পত্তি করলেই আমাদের সম্পদগুলো রক্ষা পাবে। সরকারও রাজস্ব পাবে।

চুয়াডাঙ্গার কোট মালখানা ও পুলিশ লাইন

চুয়াডাঙ্গার কোট মালখানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, যেসব গাড়ি রয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই মামলার আলামত হিসেবে পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া জব্দ করা এসব গাড়ির বেশিরভাগই মাদক বহনের সহয়তার কাজে ব্যবহৃত বিধায় আদালত থেকে জিম্মায় দেয়া যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

পিবিএ/সনজিত/জেডআই

আরও পড়ুন...