পিবিএ ডেস্ক: সিডনির মেয়ে ২৫ বছর বয়সী লানা জেড। পেশায় তিনি পর্ন ছবির নায়িকা। সম্প্রতি সংবাধমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা। আসুন, তাঁর মুখ থেকে আমরাও জেনে নিই পর্ন ছবির দুনিয়ার কিছু অজানা কাহিনী। সাধারণত যে দিনগুলিতে লানাদের শুটিং থাকে, সেই দিন পর পর একাধিক দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় নীল ছবির নায়িকাদের। কাজের আগেই প্রযোজক সংস্থা জানিয়ে দেয়, পরবর্তী দৃশ্যে কী বা কতটুকু করতে হবে তাঁদের। অভিনেত্রীদের সম্মতি আদায় এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। বিশেষত সাম্প্রতিককালে কয়েকজন নায়িকা তাঁদের পুরুষ সহ-অভিনেতাদের বিরুদ্ধে অভিনয়ের ছলে ধর্ষণের অভিযোগ আনার পর থেকেই এই বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়।
অস্ট্রেলিয়ার পর্ন ফিল্মে তেমন দুঃসাহসিক কাজ কিছু করতে হয় না বলেই জানান লানা। মূলত এক বা একাধিক পুরুষের সঙ্গে অথবা আরেকটি মেয়ের সঙ্গে ভালোবাসার দৃশ্যে অভিনয় করার অতিরিক্ত কিছু করতে হয় না আমাদের, জানান লানা। অস্ট্রেলিয়াতে পর্ণ ফিল্মে রোজগার তেমন নেই। কাজেই বেশির ভাগ অভিনেত্রীই অভিনয়ের পাশাপাশি রোজগারের অন্য পথ খোলা রাখেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা যৌনকর্মী হিসেবেও কাজ করে থাকেন। লানা নিজেও এসকর্ট হিসেবে কাজ করেন।
লানা জানান, বর্তমানে টুইটার যৌনপেশার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহায়ক সোশ্যাল মিডিয়া, কারণ টুইটারে কোনো সেন্সরশিপ নেই। লানা আরও বলেন, পর্ন ফিল্মের অভিনেত্রী বা যৌনকর্মীদের সম্পর্কে মানুষের মনে যে ভুল ধারণাটি সবচেয়ে প্রবল তা হলো এই যে, আমরা বাধ্য হয়ে এই পেশায় এসেছি। এটা কিন্তু একেবারেই ভুল ধারণা। আমি নিজে উচ্চশিক্ষিত, বুদ্ধিমতী, আমার এই কাজে আসবার কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। তা সত্ত্বেও এই পেশায় আমার আসা, এই কাজটাকে আমি ভালোবাসি বলে। তাঁর এই বক্তব্য নীল ছবি ও তার অভিনেতা-অভিনেত্রী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অনেক ভুল ধারণাকেই বদলে দিতে সক্ষম হবে বলে আশা করেন লানা।
পিবিএ/এমএসএম