পিবিএ,হাটহজারী: আপনারা শিরক বেদআত থেকে দূরে থাকবেন। ঈদে মিলাদুন্নবীর মতো জঘন্য বিদআতে লিপ্ত হবেন না। কারণ বেদআত করলে তওবা নসীব হয় না। হিংসা করবেন না। সুদ-ঘুষ খাবেন না। চুরি-ডাকাতি করবেন না। জিনা ব্যভিচার করবেন না। মসজিদ-মাদরাসা ও আলেম সমাজকে মুহাব্বত করবেন। তাদের পরামর্শে জীবন পরিচালনা করবে।
উত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী দীনি ও সেবামূলক সংগঠন আল আমিন সংস্থার ৩দিনব্যাপি তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিবসে শুক্রবার(২৯ নভেম্বর) প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজতের ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী একথা বলেন।
মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ ও মাওলানা ইবরাহিম খলিল সিকদারের যৌথ সঞ্চালনায় মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা শেখ আহমদ, মাওলানা ইদরীস ও মাওলানা আনাস মাদানীর ধারাবাহিক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তাফসীর মাহফিলের সমাপনী দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার আহবান জানিয়ে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, কাদিয়ানীরা হযরত মুহাম্মদ সা. কে শেষ নবী মানে না। মুসলমানদের অনেক নিয়মনীতি মানে না। কাদিয়ানীরা হিন্দুদের মতো অমুসলিম হিসেবে দেশে থাকতে পারবে।কাফের হিসেবে বাংলাদেশে থাকতে পারে। মুসলিম পরিচয়ে তারা দেশে বসবাস করতে পারবে না। কাদিয়ানী ইস্যুতে সরকার, প্রশাসন ও জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
আল্লামা শফী অারো বলেন, কিছুদিন ধরে টার্গেট করে আলেমদের গুম করা হচ্ছে। বিভিন্ন অজুহাতে আটক দেখিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এমন কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।অবিলম্বে গুম হওয়া আলেম ও নিরাপরাধ জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া হোক এবং অাটককৃত সকল আলেমকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
৩দিনব্যাপী মাহফিলের সমাপনী দিবসে আরো আলোচনা করেন, মাওলানা মামুনুল হক,মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মুফতী মুস্তাকুন্নবী, মুফতি মেরাজুল হক মাজহারী, মুফতী হুমায়ুন কবীর, মাওলানা আব্দুস ছমী, মাওলানা ইসমাইল খান, মুফতী রাশেদ প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম।
পিবিএ/খোরশেদ আলম/এমএসএম