পিবিএ,ডিএমসি: রাজধানীর কলাবাগনের একটি বাসা থেকে রুনা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী মোঃ আসিফই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে।
আজ সোমবার সকালে কলাবাগান থানা পুলিশ নর্থ সার্কুলার রোডের ভুতের গলির ৮ নম্বর বাসা থেকে রুনার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
শরিয়তপুর নরিয়া উপজেলার শালদ গ্রামের নুর মিয়ার মেয়ে রুনা। ৭ ভাইবোনের মধ্যে ৬ষ্ঠ সে। তার বাবা-মা ও অন্য ভাইবোনেরা ভুতের গলির ৬২/২ নম্বর বাসায় থাকেন।
মৃত রুনার বড় ভাই আদনান আলম জানান, রুনা গৃহবধূ। তার স্বামী আসিফ শাহবাগে ফুলের ব্যবসা করেন। গত দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করেন তারা ২ জন। এরপর থেকে ভুতের গলির ৮ নম্বর বাসার নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন রুনা।
তিনি অভিযোগ করে জানান, এখনও এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছে আসিফের। গতকাল রুনা কিছু শপিং করে স্বামী আসিফ সহ তার বাবার বাসায় আসেন। সেখানে আসিফ মোবাইলে ওই মেয়ের সাথে কথা বলতে থাকেন। এই মোবাইলে কথা বলা দেখে রাগ করে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সে স্বামীর বাসায় চলে যান।
পরে আজ সোমবার সকাল ৬ টার দিকে আসিফের ভাই সজিব গাজিপুর থেকে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানান, রুনা বাসার ভিতর ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এই খবর শুনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই বাসায় গিয়ে দেখেন; খাটের উপর মৃত অবস্থায় শুয়ানো আছে রুনা। তখন থেকেই তার স্বামী আসিফকে পাওয়া যায়নি।
বড়ভাই আলমের অভিযোগ, আসিফই তার বোন রুনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়েছে।
কলাবাগান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আরিফ জানান, রুনার গলায় কালচে দাগ রয়েছে। স্বামী আসিফ পলাতক রয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানাযাবে।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের সামনে লাশের জন্য স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
পিবিএ/এইচএ/জেডআই