সনজিতকর্মকার, পিবিএ, চুয়াডাঙ্গা : ট্র্যাংকলরীর ভাড়া বৃদ্ধি, জ্বালানি তেল বিক্রিতে ৭.৫ ভাগ কমিশন, প্রিমিয়ান পরিশোধ স্বাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা চালুসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে চুয়াডাঙ্গায় জেলায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ও জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
রোববার (১লা ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ২২টি পেট্রোল পাম্প বন্ধ রেখে এই কর্মবিরতি পালন করছে তারা। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়েছে মোটর সাইকেল চালকসহ বিভিন্ন পরিবহন চালকরা।
তবে বিভিন্ন হাট-বাজারে খুচরা বিক্রেতাদের জ্বালানি পেট্রোল বিক্রি করতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা জ্বালানী, পেট্রোলপাম্প ট্যাংকলরী মালিক সমিতি সভাপতি হাবিল হোসেন জানান, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১৫ দফা দাবিতে এ ঘর্মঘট শুরু হয়েছে।
দাবিগুলো হচ্ছে- জ্বালানি তেল বিক্রির ক্ষেত্রে প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নাকি পরিবেশক পরিশোধ করবে তা সুনির্দিষ্ট করা, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের লাইসেন্স গ্রহণের প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদফেতরের লাইসেন্স গ্রহণের প্রথা বাতিল করা ইত্যাদি।
জেলার শহরতলী সীমান্ত পেট্রোলিয়াম ও মেসার্স সুগন্ধা ফিলিং ষ্টেশন শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে জ্বালানি ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক অমীমাংসিত দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা তাল বাহানা করছেন। বারবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন। এগুলো মেনে নিয়ে জ্বালানি ব্যবসা করা আদৌ সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হয়ে জ্বালানি ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন।
মোটরসাইকেলে তেল নিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকা ইলিয়াস হোসেন জানান, গতকাল শুনেছিলাম পাম্প বন্ধ থাকবে। তবে তা আর খেয়াল ছিল না। বাসা থেকে বেরিয়ে পাম্পে এসে শুনি তেল বিক্রি বন্ধ। অথচ আমাকে এখন যেতে হবে আসমানখালী বাজারে। চুয়াডাঙ্গা শহর থেকে প্রায় এখান থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে।
চুয়াডাঙ্গা জ্বালানী, পেট্রোলপাম্প ট্যাংকলরী মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক অরিফুল তসলিম জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধর্মঘট। এটি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত দাবি না মানা পর্যন্ত তেল বিক্রি বন্ধ থাকবে। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেলে আবারও তেল বিক্রি শুরু হবে।
পিবিএ/ সনজিত/জেডআই