‘আদর্শ’ বীজতলায় ঝুঁকছেন শেরপুরের কৃষকরা

বীজতলা
‘আদর্শ’ বীজতলায় ঝুঁকছেন কৃষকরা

পিবিএ,শেরপুর: কৃষি উন্নয়নে কমিউনিটি বীজতলা কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। কমিউনিটি বীজতলাতে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় দিন দিন তারা ঝুঁকে পড়েছেন। শেরপুরের সব উপজেলার কৃষকের মধ্যে কমিউনিটি বীজতলা তৈরিতে আগ্রহ ক্রমেই বেড়ে চলছে। এ বীজতলা তৈরি করায় কৃষকের ধান উৎপাদন খরচ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কম লাগছে। ফলে কম খরচে বেশি লাভ পাচ্ছেন নকলার কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৩৭ হাজার কৃষি পরিবার রয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ হাজার থেকে ১৬ হাজার কৃষক গড়ে ২ থেকে ৩ শতাংশ জমিতে কমিউনিটি (আদর্শ) পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করেছেন।

আজিজুল ইসলাম জানান, সনাতন পদ্ধতিতে যে জায়গায় ৫০ কেজি বীজ লাগত, সেখানে কমিউনিটি পদ্ধতিতে ৩৫ কেজি বীজ লাগে। তাতে বীজতলা তৈরি থেকে অন্যসব মিলে এক হাজার ৫০০ টাকা খরচ কম হয়।

ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি ছাইদুল জানান, আগে ২ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগাতে ১২ থেকে ১৫ শ্রমিকের সারা দিন লাগত, এখন কমিউনিটি বীজতলার চারা রোপণ করতে ৮ থেকে ১০ শ্রমিক লাগে।

উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কয়েক বছর আগেও কৃষকরা বীজতলা তৈরি করতে নিচু এলাকায় অন্যের জমি লিজ নিতেন। তাতেও ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু কমিউনিটি পদ্ধতিতে যে কোনো জায়গায় বীজতলা তৈরি করা যায়। এতে ক্ষতির সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।

কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মণি জানান, তারা কয়েক বছর ধরে কমিউনিটি পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করতে কৃষককে হাতেনাতে শিক্ষা দিচ্ছেন। বীজতলা তৈরির মৌসুমে ছুটির দিনেও মাঠে
ঘুরে কৃষককে পরামর্শ দেন তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় উপজেলার কৃষকের মাঝে অন্তত ধানের ৩০০টি প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হয়েছে । আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উপজেলার সব বীজতলা কমিউনিটি পদ্ধতিতে করা হবে বলে তিনি আশা করছেন।

পিবিএ/ জেডআই

 

আরও পড়ুন...