পিবিএ,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে শিশু ডায়রিয়া আশংকাজনক হারে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে ২০৯জন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। দিনদিন রোগীর ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। হাসপাতালের বেডে জায়গা না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, ঠান্ডা জনিত, তীব্র শীত ও রোটা ভাইরাসের কারনে শিশু ও বৃদ্ধরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারন করছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শিশুর অভিভাবকরা।
২১জানুয়ারী (সোমবার) হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে উপজেলার নয়ারচর গ্রামের সিরাজুলের ছেলে রায়হান (১০) মাস, তিনতলি গ্রামের রশিদের ছেলে আনহা (৪) মাস, বাতারগ্রামের জমিলার মেয়ে ফারজানা (১১) মাস, দক্ষিণ বাইটকামারী গ্রামের দুলালের ছেলে হৃদয় (১০) মাস, কলেজপাড়ার রোকনুজ্জামানের ছেলে তাওসিব (১৩) মাস, কলাবাড়ি গ্রামের ময়নালের ছেলে রাব্বি (১৮) মাস, উত্তর খাওরিয়ারচর গ্রামের মালেকের ছেলে সজিব (৬) মাস, কর্তিমারী বাজারপাড়ার আমির আলীর ছেলে সাব্বির (২) বছরসহ প্রায় দুই শতাধিক।
শিশুরা আশংকাজনক হারে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোন মেডিকেল টিম গঠন করা হয়নি। ফলে ডায়রিয়ার প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আরএমও ডা.মোমেনুল ইসলাম হুমায়ুন বলেন, অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ায় ও কনকনে শীতের কারনে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এতে শিশুদের পানি শুন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা খুবই কষ্ট ও দুর্বল হয়ে পড়ছে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান খাবারের স্যালাইন ও অন্যান্য ওষুধ সামগ্রী রয়েছে। এসব রোগীদের সার্বক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ডা.বোরহান উদ্দিন জানান, ঠান্ডা জনিত, তীব্র শীত রোটা ভাইরাসের কারনে শিশু ডায়রিয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যে গ্রামে গ্রামে সচেতনতা জন্য ফিল্ড অফিসাররা কাজ করছেন এবং খাবার স্যালাইন বিতরন করা হচ্ছে।
পিবিএ/ এমআইবি/ ইএইচকে