সনজিত কর্মকার, পিবিএ, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড জাতের টমেটো মাচায় চাষ করে লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে এ চাষে আগ্রাহ দেখাচ্ছেন। বাজারে অসময়ের এ টমেটোর চাহিদা বেশি থাকায় কৃৃষকরা দাম পাচ্ছেন ভালো।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করলে ফলন অনেক বেশি ও খরচ কম হয়। এবং এ জাতের টমেটো খেতে সুসাদু।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া অনুকূল ও মাটি উর্বর হওয়ায় টমেটোচাষ ভালো হচ্ছে। এ জাতের টমেটো গাছ লাগানোর ২ মাসের মধ্যে ফল ধরতে শুরু করে। ৩-৪ মাস পর্যন্ত এ টমেটো সংগ্রহ করা যায়। প্রথম বছর খরচ বেশি হলেও পরবর্তী বছর থেকে খরচ কম হয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় গত বছর ১১ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছিলো। প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপান ধরা হয়েছে ৩০-৫০ মেট্রিক টন। যা অন্য জাতের চেয়ে অনেক বেশি। এই জাতের টমেটো চাষের আগে বীজতলা থেকে চারা তৈরি করতে হয়। জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে তৈরি করে নিতে হয়। জমিতে পলিথিন বিছিয়ে ছোট ছিদ্র করে চারা লাগাতে হয়। ফুল আসার পর পাটখড়ি, বাঁশের কঞ্চি, নাইলনের দড়ি ও তার দিয়ে মাচা তৈরি করতে হয়। গাছ বড় হলে মাচার ওপর তুলে দিতে হয়। ফল গুলো মাচায় ঝুলে থাকে। মাটিতে ঠেকে থাকলে দ্রুত পচে যায়। টমেটো গাছ লাগানোর পর নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়।
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ইলিয়াস হোসেন জানান, এ জাতের টম্যাটোচাষ লাভজনক হওয়ায় কৃৃষকরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। গ্রামের সবাই কম-বেশি চাষ করেছে। গাছে যথেষ্ট ফল ধরেছে। মাচায় টমেটো চাষ করলে নষ্ট কম হয়। কারণ মাটিতে টমেটো লেগে থাকলে পচে যায় ও ফলন কম হয়।
একই উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মকবুল হোসেন জানান, টমেটোর দাম গত বছরের তুলনায় ভালো। এখন পর্যন্ত ৫০ মণ টমেটো বিক্রি করেছি। দাম ৭০-৯০ টাকা পেয়েছি প্রতি কেজিতে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী আহসান জানান, প্রকল্পের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় গ্রীষ্মকালীন জাতের টমেটো চাষ হচ্ছে। এক সময় এ জাতের টমেটো কৃষকরা চাষ করতো না।
তিনি আরো জানান, প্রথম বছর চাষে খরচ বেশি হলেও লাভ বেশি হয় পরের বছর থেকে। বর্তমানে যে ফলন হচ্ছে যথাযথভাবে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করলে ফলন আরও বেশি হবে। এ ব্যাপারে কৃৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
পিবিএ/ সনজিত/জেডআই