পিবিএ ডেস্ক : মিয়ানমারে থাকা এখনও অসংখ্য রোহিঙ্গা জেনোসাইডের হুমকির মুখে। আর গণহত্যার বিষয়ে মিয়ানমারের বক্তব্য মিথ্যা। আধুনিক যুগের এই জেনোসাইডের জন্য দেশটিকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। রোহিঙ্গা নির্যাতন এবং জেনোসাইড কনভেশন ভঙ্গের অভিযোগের শুনানিতে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করেছে গাম্বিয়া। শুনানির পুরো সময় উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি। কাল আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করবে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা নির্যাতন, জেনোসাইড, জেনোসাইড কনভেনশন ভঙ্গের অভিযোগে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাঠগড়ায় মিয়ানমার। এই কার্যক্রমে দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টেট কাউন্সিল অং সান সুচি।
গাম্বিয়ার করা আলোচিত মামলার শুনানির শুরুতেই, বাদী পক্ষে অ্যাড হক বিচারক নাভি পিল্লাই এবং বিবাদী পক্ষে ক্লস ক্রেস নিরপেক্ষভাবে কাজ করার শপথ নেন।
সূচনা বক্তব্যে গাম্বিয়ার এজেন্ট আবু বকর মারি তামবাডু বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে নির্যাতন তা আধুনিক সময়ের জেনোসাইড। এই অবিবেচনাপ্রসূত হত্যা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
শুনানিতে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের বিভিন্ন প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। বলা হয়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা এখনও জেনোসাইডের হুমকির মুখে। এ জন্য তাদের সুরক্ষা প্রয়োজন।
শুনানিতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার এখনও ঘৃণাসূচক বক্তব্য দিচ্ছে। যা উসকে দিচ্ছে জেনোসাইডকে। তাই আরো অপূরণীয় ক্ষতি রোধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জরুরি।
আদালতে থেকে গাম্বিয়ার সব অভিযোগ শুনেছেন অং সান সুচি। কাল এই মামলায় আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করবে মিয়ানমার। আর পরদিন দুপক্ষই তুলে ধরবে যুক্তি পাল্টা যুক্তি।
১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলবে এই মামলার শুনানি।
পিবিএ/জেডআই