‘রাজাকারে তালিকা’কোনো ভুলত্রুটি আছে কি না, সেটা জানি না : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ফটো

পিবিএ, ঢাকা : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রাজাকারের প্রথম তালিকায় নানা অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এতে এমন সব ব্যক্তির নাম এসেছে, যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, লড়াই করেছেন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে। কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধে সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি শহীদ পরিবারের সদস্যদের নামও রয়েছে তালিকায়। অথচ এতে নেই চিহ্নিত অনেক রাজাকারের নাম। এসব কারণে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত রাজাকারদের তালিকা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে হুবহু প্রকাশ করা হয়েছে। এখানে কোনো ভুলত্রুটি আছে কি না, সেটা আমরা জানি না। তালিকা প্রকাশের পর অনেকে ফোন করে বলছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নামও তালিকায় রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তির নামের সঙ্গে অন্য কারোর নামের মিলের কারণে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকতে পারে। তারপরও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে, সেগুলো বিবেচনা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘একই নামে তো অনেক মানুষ থাকতে পারে। আর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কেন, এটা হতে পারে না। আর যদি আসেও সেটা পাক বাহিনীর ভুল।’

‘যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখব’ বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।

উল্লেখ্য, রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

পিবিএ/এমএম/ জেডআই

আরও পড়ুন...