‘পেনড্রাইভে নেয়া রাজাকারের তালিকার দাঁড়ি-কমাও পরিবর্তন করা হয়নি’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ফাইল ফটো

পিবিএ, ঢাকা : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পেনড্রাইভে নেয়া রাজাকারের তালিকার দাঁড়ি-কমাও পরিবর্তন করা হয়নি। কোনো কিছু পরিবর্তন না করেই রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল বলে জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এজন্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রাজাকারের তালিকায় ভুল হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।

বলেন, যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসেছে তা যাচাই-বাছাই করে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। নিজ উদ্যোগে এটি সংশোধন করবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এজন্য দরখাস্ত কিংবা আবেদন করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

তিনি বলেন, আগামীতে ৬৪ জেলার ৪৬০টি উপজেলার সম্পূরক রাজাকারের তালিকা আসবে। সেখানে যাতে এ ধরনের ভুল আর না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্ক দৃষ্টি রাখা হবে।

আ ক ম মোজাম্মেল হক আরও বলেন, রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশের দাবি দীর্ঘদিনের। রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে ‘মৌচাকে ঢিল’ মেরেছি আমি। এজন্য বিশেষ একটি মহল ক্ষুব্ধ হয়েছে।

‘৪৮ বছর পর রাজাকারের তালিকার প্রয়োজন হলো কেন’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, রাজাকারের তালিকা নিয়ে আঁতে ঘা লেগেছে বিএনপির। সবকিছুতেই ষড়যন্ত্র দেখে তারা।

তিনি বলেন, ২৫ বছর ক্ষমতায় ছিল স্বাধীনতাবিরোধীরা। ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাগজপত্রে কারচুপি হতে পারে তা আমরা কল্পনাও করিনি। এটি আমাদের ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল না। তবে যাচাই-বাছাই না করে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা আমাদের ভুল হয়ে গেছে। এজন্য শুরুতেই আমরা হোঁচট খেয়েছি। এই ভুলের দায় এড়াতে পারি না আমরা। যেসব অভিযোগ পাব, যাচাই করে সেসব নাম প্রত্যাহার করে নেব।

মানিকগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধকালীন কামান্ডার তোবারক হোসেন লুডুর সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিজয় মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দিন, মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম ও আব্দুল মজিদ ফটো প্রমুখ।

পিবিএ/এমইউ/জেডআই

 

আরও পড়ুন...