পিবিএ ডেস্কঃ শরীরের জন্য ভিটামিন সি খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন সি খাওয়া ক্ষতিকর। কেননা, রক্তে মেশে না বলেই অতিরিক্ত ভিটামিন সি স্টোন হয়ে অনেক সময়েই জমা হয় কিডনিতে। এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল পরিমাণে থেকে যায়।
শরীরে ভিটামিন সি সঠিক মাত্রায় থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হাড় ভালো থাকে। ঝলমলে থাকে চুল-ত্বক। দ্রুত ক্ষত সারে। তাই অনেকেই বাচ্চাকে প্রচুর ভিটামিন সি খাওয়ান। বড়রাও ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে খেতে শুরু করেন ডাক্তারি পরামর্শ না নিয়েই। যদিও একজন পূর্ণবয়স্ক ৬৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি খেতে পারেন রোজ। তার বেশি খেলেই ডায়রিয়া, বমি, অম্বল, কমজোরি লিভার-হার্ট এমনকি কিডনিতে স্টোনের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে!
তাই বেশি সুস্থ থাকতে বা রাখতে গিয়ে অকারণ অসুস্থতা ডেকে আনবেন না। কারণ, অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়।
কিডনিতে সমস্যা
চিকিৎসকদের মতে, ডায়রিয়া, বমিভাব, অম্বল থেকে গলা-বুক জ্বালা, মাথাব্যথা, অনিদ্রাতেও ভুগতে পারেন বেশি ভিটামিন সি খেলে।
হজমের সমস্যা
বেশি ভিটামিন সি সাপ্লিমেন্ট খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। দিনে ২ হাজার মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি খেলে তাই ডায়রিয়া, বমি, অম্বল হতে পারে।
আয়রনের মাত্রা বাড়ে
ভিটামিন সি আয়রনের খুব ভালো শোষক। তাই বেশি ভিটামিন সি খাওয়া মানেই শরীরে আয়রনের আধিক্য। এতে লিভার, হৃদয়, প্যানক্রিয়াস, থাইরয়েড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাপ পড়ে স্নায়ুতন্ত্রেও।
ভিটামিন সি কিন্তু জমে না
ভিটামিন সি রক্তে মেশে না। ফলে শরীরের কোষে জমে না। তাই বাড়তি ভিটামিন ইউপিনের আকারে বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা থাকে।
কিডনিতে স্টোন
রক্তে মেশে না বলেই অতিরিক্ত ভিটামিন সি স্টোন হয়ে অনেক সময়েই জমা হয় কিডনিতে। এতে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল পরিমাণে থেকে যায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি খান। অবশ্যই মাপ মেনে।
কীভাবে ভিটামিন সি খাবেন?
ফল, খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন সি খেলে তা ক্ষতি করে না শরীরের। ওষুধ বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে খেলে ক্ষতিকর তা। তাই বেছে নিন এই ফল, সবজি।
পিবিএ/এসএইচ