ব্রণ ও চুলের সমস্যায় ম্যাজিকের মতো সমাধান করে কর্পূর!

পিবিএ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম মতে, যদি পূজায় কর্পূর ব্যবহার না করা হয় তাহলে পূজাই সম্পন্ন হয় না। তবে পূজার থালা থেকে গৃহস্থালির টুকিটাকি অনেক কিছুতেই রয়েছে কর্পূরের ব্যবহার।
কর্পূরের ব্যবহার আমাদের দেশে বহু প্রাচীনকাল থেকেই। সাধারণত খাবারের সুগন্ধ বাড়াতে কর্পূরের (ভোজ্য) ব্যবহার করা হয়। মূলত সিনামোনান ক্যাম্ফরা গাছের ছাল থেকেই পাওয়া যায় কর্পূর। ভারত, জাপান, ইন্দোনেশিয়া-সহ এশিয়ার প্রায় সর্বত্রই কর্পূর গাছ দেখা যায়।

বাজারে দু’ ধরণের কর্পূর পাওয়া যায়। একটি কর্পূর গুল্ম থেকে আর অন্যটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়। বাঙালি বাড়িতে পুরনো রীতি ছিল, গ্রীষ্মকালে পানিতে কর্পূর মিশিয়ে রাখা। এতে পানি ঠান্ডা থাকত। কর্পূরের প্রভাবে পানির স্বাদগন্ধেও পরিবর্তন আসে। তবে কর্পূরের রয়েছে অনেক গুণ। যা ব্রণ ও চুলের সমস্যায় ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

জেনে নিন কীভাবে কর্পূর ব্যবহার করবেন-

ব্রণ ও ব্রণের দাগ নিরাময়ে :কয়েক ফোঁটা কর্পূরের তেল অন্য কোনো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে মালিশ করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়। এক্ষেত্রে জলপাই তেল, নারকেল তেল বা বাদাম তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

চুলের যত্নে: নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কারো কাছেই চুল পড়া যেন দুঃস্বপ্ন। বিভিন্ন কারণে আবার ঝরে যাওয়ার পর নতুন চুল গজায় না। বাজারচলতি রাসায়নিকের বদলে কর্পূরের তেল ব্যবহার করে দেখুন। নিয়মিত মাথায় যে তেল ব্যবহার করেন তার সঙ্গে কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার আগে তেলের মিশ্রণ ভালো করে স্ক্যাল্পে মালিশ করুন।

উকুন বিনাশে: অনেকেই হরহামেশাই উকুনের সমস্যায় অতিষ্ট। নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর গুঁড়া মিশিয়ে মাথায় ভালো করে মালিশ করুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সবথেকে ভালো হয়, যদি কর্পূর মেশানো তেল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাখা যায়। তাহলে কর্পূরের গন্ধে উকুন মরে যাবে।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...