পিবিএ ডেস্ক: বিদায়ী বছরে (২০১৯) একের পর ‘আপত্তিকর ভিডিও’ ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে নাম করা তারকা ও সরকারি কর্মকর্তারাও রয়েছেন। ভিডিও ফাঁস হওয়া ঘটনাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচায় ছিল জামারপুরের ডিসির ঘটনা। এছাড়াও রয়েছেন, সালমান মুক্তাদির-জেসিয়া ও নারায়ণগঞ্জের কৃষি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও তার নারী সহকর্মীর ফাঁস হওয়া আপত্তিকর ভিডিও বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।
জেসিয়া-সালমান:
বছরের বিতর্কিত ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির ও ২০১৭ সালের মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলামের নামে একটি ভিডিও শুরুতে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আপত্তিকর ভিডিও নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও হইচই শুরু হয়। তবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি জেসিয়া ও সালমানের কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে ভুয়া আইডি খুলে ভুয়া ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন জেসিয়া। কিন্তু সালমান মুক্তাদির বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে গিয়ে ভুয়া আইডি ও ভিডিও ছড়িয়ে অপপ্রচার ও মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন জেসিয়া।
জামালপুরের ডিসি ও সাধনা:
গেল বছর দেশে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল জামালপুরের ডিসির সঙ্গে নারী সহকর্মীর আপত্তিকর ভিডিও।
গত আগস্ট মাসে অফিস সহকারীর সঙ্গে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়ে। খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট কর হয়।
এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছিল, ভিডিওটি অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় (সিসি) ধারণ করা।
৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ৩ আগস্ট জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে তার কার্যালয়ের এক নারী কর্মীর সঙ্গে অফিস কক্ষের পাশের রুমে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায়। পরে ডিসি আহমেদ কবীরকে সরিয়ে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটিও করা হয়।
কৃষি কর্মকর্তা জয়নাল ও নারী পিয়ন:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে এক নারীর আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গত অক্টোবর মাসে।
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় (সিসি টিভি) ধারণকৃত চৌদ্দ মিনিটের ভিডিওতে তারই অফিসের এক নারী পিওনের সাথে দেখা যায় তাকে। ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যান সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন।
সিটি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ৮ অক্টোবর সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন তার রুমে বসে তারই অফিসের নারী পিওনের সাথে কথা বলছেন। এক পর্যায়ে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে জয়নাল আবেদন তার শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থানে জোর করে হাত দিচ্ছেন।
ওই নারী কর্মী টেনে তার হাত বের করে দেন। পরে নারী কর্মী বাইরে চলে যান। তিন চার মিনিট পর জয়নাল আবেদীন আবার ওই নারী কর্মীকে ডিকে রুমে নিয়ে আসেন। ডেকে নিয়ে আসার পর জয়নাল আবেদীন চেয়ারে বসে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন।
তারপর ওই নারী কর্মী আবার রুম থেকে বের হয়ে যান। তার দুই মিনিট পর জয়নাল আবেদীনও রুম থেকে বের হয়ে যান। দুই তিন মিনিট পর আবার জয়নাল আবেদীন এবং ওই নারী কর্মী রুমে প্রবেশ করেন। এর পর দেখা যায়, জয়নাল আবেদীন চেয়ারে বসে ওই নারী কর্মীকে হাত ধরে টেনে এনে তার কোলে বসিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিচ্ছেন।
পিবিএ/বিএইচ