মানিকগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ওষুধের দোকানি হত্যা : ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

পিবিএ,মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী লিটন খানে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। সোমবার দুপুরে আসামীর অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষনা করেন জেলা-দায়রা জজ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন । দন্ডপ্রাপ্ত লিটন খান মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের ছবির উদ্দিনের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি একেএম নূরুল হুদা রুবেল জানান, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী লিটন খানের সাথে মামলার বাদি সাহেব আলীর মেয়ে চয়না আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে যৌতুকের জন্য চায়নাকে চাপ প্রয়োগ করা হয়। যৌতুকের টাকার অযুহাতে মাঝে মধ্যেই স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী লিটন এবং এর কিছুদিন পর স্ত্রীকে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় লিটন। কিছুদিন চলার পর বিদেশ যাওয়ার জন্য দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে লিটন।

টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রী চায়নাকে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন শুরু করেন লিটনসহ তার পরিবারের লোকজন। এই ঘটনার জেরে ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে স্ত্রী চায়না আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে লিটন। এঘটনায় নিহত চায়নার বাবা সাহেব আলী বাদি হয়ে মো.লিটন খান, তার বাবা ছবির উদ্দিন ও মা রিজিয়া খাতুনকে আসামী করে ঘিওর থানায় মামলা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১২জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আসামী লিটন খানকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন এবং মামলার অপর দুই আসামী ছবির উদ্দিন ও রিজিয়া খাতুন দোষীত প্রমানীত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকুসুর খালাস প্রদান করেন।

পিবিএ/মনিরুল ইসলাম মিহির/বিএইচ

আরও পড়ুন...