চুয়াডাঙ্গায় পল্লী এ্যাম্বুলেন্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

এ্যাম্বুলেন্স
চুয়াডাঙ্গায় পল্লী এ্যাম্বুলেন্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পল্লী এ্যাম্বুলেন্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোনো না কোনো গ্রামের রাস্তায় চোখে পড়বে কলাপাতা রঙের একটি গাড়ি। গাড়িতে লেখা পল্লী এ্যাম্বুলেন্স’। সদর উপজেলায় এ ধরণের পল্লী এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে সাতটি। ১৭০ গ্রামে সাতটি পল্লী এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সেবা দেয়া হচ্ছে। রাত-দিন ২৪ ঘন্টা যেকোনো সময় পল্লী এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত থাকে অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌছে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ এ এ্যাম্বুলেন্সের সেবা পেয়েছেন।

লাল আলো জ্বলে-নেভে সাইরেন বাজিয়ে চলে পল্লী এ্যাম্বুলেন্সে। তিনচাকার ব্যাটারিচালিত এ গাড়ির চালকদের মোবাইল নম্বর গ্রামবাসির সবার জানা। প্রয়োজনের সময় পল্লী এ্যাম্বুলেন্স চালককে ফোন দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে পল্লী এ্যাম্বুলেন্স। রোগি এবং রোগির স্বজনদের নিয়ে যাওয়া হয় তাদের পছন্দের হাসপাতাল, ক্লিনিক কিংবা কাছের সরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।

এ্যাম্বুলেন্স
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় পল্লী এ্যাম্বুলেন্স জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের গৃহবধু সোনিয়া খাতুন জানান, প্রসব বেদনা ওঠলে পল্লী এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি ক্লিনিকে। সেখানে কন্যা সন্তান প্রসব করেন তিনি। সোনিয়া খাতুনের স্বামী মহিনউদ্দিন বলেন, চুয়াডাঙ্গা থেকে এ্যাম্বুলেন্স ডাকতে গেলে অনেক টাকা লাগতো। পল্লী এ্যাম্বুলেন্সে আমার তেমন কোনো টাকা খরচই হয়নি। পল্লী এ্যাম্বুলেন্স এসে অনেক সুবিধা হয়েছে। গ্রামের অসুস্থরা সেবা পাচ্ছে।

শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান বলেন, পল্লী এ্যাম্বুলেন্স ব্যাটারিতে চলে। রাস্তা ভাল হলে দ্রুত যেতে পারে। বেশিরভাগ রাস্তা এখন ভাল।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসুস্থ মানুষদের কথা ভেবে পল্লী এ্যাম্বুলেন্সের পরিকল্পনা করা হয়। এখন দেখা যাচ্ছে বেশ সাড়া মিলেছে। ২৪ ঘন্টা পল্লী এ্যাম্বুলেন্স রোগির সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য ভাল কোনো ব্যবস্থা ছিল না। যানবাহনের কারণে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যায়। এতে জীবনের ঝুঁকি দেখা দেয়। সেই অসুবিধা দূর করার জন্যই পল্লী এ্যাম্বুলেন্স ভাবনা মাথায় আসে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে পল্লী এ্যাম্বুলেন্স যাত্রীসেবা শুরু হয় ।

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...