যেসব খাদ্যাভাসে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

পিবিএ ডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। অনেকের ধারণা, ধূমপান না করলেই হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখা যায় ।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপান হৃদরোগের অন্যতম কারণ।কিন্তু ধূমপান ছাড়াও নানা খাদ্যাভ্যাস হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করে।হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু প্রতিরোধে কিছু খাদ্যাভাস পরিবর্তন করা জরুরী। যেমন-

ঠাণ্ডা পানীয়: পিপাসা পেলে কিংবা পছন্দের বলে অনেকেই নিয়মিত বিভিন্ন বাজারজাত ঠাণ্ডা পানীয় পান করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোল্ড ড্রিঙ্কের অতিরিক্ত সুগার ও সোডা ধমনীর উপর চাপ ফেলে। এ ছাড়া এ পানীয় পানে শরীরের পানির পরিমাণ কমে ভেতরে শুকনো হয়ে যায়।

চিপস: মাঝে মাঝে কয়েক টুকরা চিপস খেলে অতটা সমস্যা হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিপস খাওয়া অভ্যাসে পরিণত হলে তা হৃৎপিন্ডের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এতে থাকা ট্রান্স ফ্যাট ও অতিরিক্ত লবণ হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ দেয়। দিনের পর দিন শরীরে জমতে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

জাঙ্ক ফুড: পিৎজা, বার্গারসহ সব ধরনের চাইনিজ খাবার খাওয়া প্রতিরোধ করুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাইনিজ সসে প্রিজারভেটিভের পরিমাণ এতটাই বেশি থাকে যা শরীরের নানা ক্ষতি করে। এতে হৃৎপিণ্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পিৎজা-বার্গারে উপস্থিত সোডিয়াম ও অতিরিক্ত ফ্যাট স্থূলতা বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ ফেলে।এ ছাড়া জাঙ্ক ফুডে ব্যবহৃত তেলও শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস: যে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবারেই লবণ ও চিনির মাত্রা কিংবা রাসায়নিক বেশি থাকে। এগুলো শুধু ওজনই বাড়ায় না, হঠাৎ হৃদরোগের জন্যও দায়ী।

কফি: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত কফি খাওয়া ঠিক নয়। কারণ বেশিরভাগ ব্লেন্ডেড কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং ফ্যাট জাতীয় উপাদান থাকে। এ ছাড়া কফিতে থাকা ক্যাফেইন উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। তবে সীমিত পরিমাণে খেলে তা ক্ষতির কারণ হয় না।

পিবিএ /জেআই

আরও পড়ুন...