জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার করছে

 

পিবিএ ঢাকা: বিএনপি ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করতে সন্ত্রাসী ভাড়া করছে- ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থীর এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বরং ইশরাক উল্টো অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমার কাছে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ সারাদেশে জেলা কমিটি করে লঞ্চ ভরে ঢাকায় লোক আনতেছে। তারা পুরো ঢাকা শহরে এ কাজটি করছে। আমি খুব শঙ্কিত যে, তারা ভোটের দিন কি করতে চাচ্ছে।’

বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন গণসংযোগ শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে বিভিন্ন দিক থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইশরাক হোসেন।

বুধবার গোপীবাগে সংঘর্ষের সময় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারকৃত আরিফকে পুলিশ আপনার ব্যক্তিগত সহকারী বলে দাবি করছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমার কোনো ব্যক্তিগত সহকারী নাই। আপনার জানেন, আমি বিএনপি থেকে নির্বাচন করছি। এখানে হাজার হাজার নেতাকর্মীর আসছেন। তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন কর্মকান্ডে এবং প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। আর এসব বিষয় নিয়ে বাহিরে কে কি বললো এটা তো আমি বলতে পারব না। ধানের শীষের পক্ষে যে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনের দুই দিন আগে সেটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য, জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্যই সুপরিকল্পিতভাবে এই প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

প্রতিপক্ষ প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস অভিযোগ করেছেন ১৭০টি কেন্ত্র দখল করার জন্য বাইরে থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে এসেছেন- এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একেবারে অবাস্তব কথা। আমার কাছে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ সারাদেশে জেলা কমিটি করে লঞ্চ ভরে ঢাকায় লোক আনতেছে। তারা পুরো ঢাকা শহরে এ কাজটি করছে। আমি খুব শঙ্কিত যে, তারা ভোটের দিন কি করতে চাচ্ছে। গতকাল রাতে আমাদের দক্ষিণের যুবদলের সভাপতির বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে আমাদের প্রচারণায় হামলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন অভিযান চালাচ্ছে।

নির্বাচনী এজেন্ট দেয়ার বিষয়ে কোনো সমস্যা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, গত কয়েকদিনের প্রচারণায় বাধা এবং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা দিয়ে আমাদের ব্যতিব্যস্ত রাখা হয়েছে। তারপরেও আমরা সবকিছু সম্পন্ন করেছি। পোলিং এজেন্ট নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। সেন্টার পরিচালনা কমিটি নিয়েও কোনো সমস্যা নেই। আমাদের দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী পুরোপুরি মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নির্বাচনের দিন ভোটারদের সহযোগিতা করার জন্য যা যা করা দরকার তার সব কিছুই করা হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুল ওয়াদুদ ভুঁইয়া, বিএনপি নেতা শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবু নাছের মোহাম্মাদ রহমতুল্লাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পিবিএ/এমআর

আরও পড়ুন...