চাপাতি নিয়ে রাবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ!

নার্সকে কুপিয়ে হত্যা করল রোগী
পিবিএ,রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ২২৫ নং কক্ষে মিমাংসা বৈঠকে ডেকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আল আকাবা সুহার্ত এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসান এম শামীম।

অভিযুক্তরা হলেন, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তৌহিদুর রহমান বাপ্পী, রিয়াব হোসেন, আলিনুর বাদশা, নজীব হোসেন, দিপু চন্দ্র রায়, আবু বকর সিদ্দিক রিমু এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন কিস্কু।

মারধরের বিষয়ে ভুক্তভোগী সুহার্তের অভিযোগ, বন্ধুদের একে অপরের রেষা-রেষির ঘটনায় একটু মনোমালিন্য এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। সেটি সমধানের জন্য বিভাগের বড় ভাই রুহুল আমিন কিস্কু তার রুমে ডাকেন। সেখানে গেলেই তিনি মিমাংসা করে নেওয়ার কথা বলেন। তবে বাপ্পী, আর দুইজন বন্ধু মিলে ফরিদকে মারধর শুরু করে। পরে কিস্কু দাদা চাপাতি নিয়ে দাড়িয়ে পড়েন এবং ফরিদকে চাপাতির উল্টা পিঠ দিয়ে পায়ের উপর আঘাত করেন। ঠেকাতে গেলে তাকেও ধরে মারধর করে ওরা।

এ বিষয়ে ফরিদ বলেন, তৌহিদুর রহমান বাপ্পী, রিয়াব হোসেন, আলিনুর বাদশা, নজীব হোসেন, দিপু চন্দ্র রায়, আবু বকর সিদ্দিক রিমু তার বন্ধু হন। তারা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারাও তাকে মারধর করেন। এসময় চাপাতি নিয়ে দাড়িয়ে ছিলেন। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তখন রুহুল আমিন কিস্কুর রুমে টেবিলের উপর চাপাতিটি লক্ষ্য করেন তারা।

মারধরের বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কিস্কু জানান, বিভাগের কিছু ছোট ভাই সিআর নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমার কাছে এসেছিলো। এ নিয়ে আলোচনার সময় তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে। আমি তাদের দুপক্ষকে শান্ত করে রুম থেকে বের করে দিই। এ সময় তাদেরকে দু একটা চড় থাপ্পর মেরেছিলাম। তবে চাপাতি দিয়ে মারধরের ঘটনাটি অস্বীকার করেন তিনি।

রুমে চাপাতির রাখার বিষয়ে ছাত্রলীগের এই নেতা জানান, চাপাতি দিয়ে রুমে সবজি কাটা হয় এবং সবজি কাটার জন্য হাসুয়াও রুমে আছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে ফরিদের সহপাঠী তৌহিদুর রহমান বাপ্পীর কাছে মারধরের বিষয়ে জানতে তিনি বলেন, একটি সমস্যা হয়েছিলো সেটি মিটে গেছে। তিনি মারধরের সাথে জড়িত নন।

পিবিএ/আকরাম হোসাইন/এমএসএম

আরও পড়ুন...