পিবিএ,ঢাকা: ‘মানুষকে বঞ্চিত করে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করবে এটা প্রহসন। অর্থাৎ যারা প্রহসন করছে সময় এসেছে সহজ ভাষায় বলার ‘সরে দাঁড়াও’। কারণ তোমরা জনগণকে বঞ্চিত করে স্বৈরতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছো।’
শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হলে এক সমাবেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার দুই বছর কারাবাসের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
গণফোরামের সভাপতি বলেন, ১৬ কোটি মানুষের অধিকার দেশে গণতন্ত্র থাকবে। প্রকৃত অর্থে নির্বাচিত ব্যক্তিরা দেশ পরিচালনা করবে। দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়, আর সেটা আমাদের সহ্য করতে হচ্ছে। যারা নির্বাচিত না তারা জবরদখল করে রাষ্ট্রক্ষমতা চালিয়ে যাচ্ছে। জনগণ আজ বঞ্চিত। সকল মানুষের পক্ষে আমাদের বলতে হচ্ছে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের নিজেদের অধিকার কেড়ে নিতে হবে।
ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য চলাকালে আ স ম আব্দুর রব বলেন, স্যার রাজবন্দিদের মুক্তির কথা একটু বলে দেন। এ সময় ড. কামাল বলেন, রাজবন্দীর মুক্তির কথা এখানে হবে এ কথা শুনতে কেমন লাগে। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এখানে রাজবন্দী! বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সভা করতে হবে, দাবি করতে হবে এটা অকল্পনীয়।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার দেশ চালাচ্ছে চালাক তবে আমাদের যে মালিকের ভূমিকা সেটা রাখতে হবে। কেননা এটা আমরা পেয়েছি খুব মূল্য দিয়ে।
তিনি বলেন, যেভাবে দুর্নীতি, কু-শাসন, অত্যাচার চলছে এটা মানুষ আর মেনে নেবে না। আমি বলব তোমরা সড়ে দাঁড়াও, নাহলে মানুষের প্রতি, স্বাধীনতার প্রতি এটা অসম্মান জানানো হচ্ছে। যারা মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিল তাদের অসম্মান জানানো হচ্ছে।
ড. কামালের বক্তব্য চলাকালে পাশ থেকে একজন সরকারের পদত্যাগের কথা বলতে বললে তিনি বলেন, এদের লাথি মেরে বের করে দিতে হবে। এই যে পদত্যাগ, পদত্যাগ না করে কি করতে হবে? তখন সামনে দর্শক সাড়ি থেকে একজন বলেন, এদের লাথি মেরে বের করে দিতে হবে। তখন তিনি বলেন, গুড।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণদলের সভাপতি গোলাম মাওলানা প্রমুখ।
পিবিএ/এমআর