পিবিএ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনেও পরাজয়ের আশঙ্কায় বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সাহস পাচ্ছে না। আজ শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রচার উপকমিটির সভা শেষে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কে নির্বাচনে অংশ নেবে, কে নেবে না, এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়া প্রকৃতপক্ষে তাদের আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত ছিল। আগামী উপজেলা নির্বাচনেও যদি বিএনপি অংশ না নেয়, তাহলে সেটিও আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কারও জন্য থেমে থাকবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সরকার গঠিত হয়েছিল। সরকার পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। উপজেলা নির্বাচনেও যদি বিএনপি না যায়, সে ক্ষেত্রেও নির্বাচন থেমে থাকবে না।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য সব সময় ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’-এর মতো। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির যে ধস নামানো পরাজয় হয়েছে, এরপর তারা আসলে নির্বাচনে যাওয়ার সাহসই পাচ্ছে না। এটিই হচ্ছে মূল বিষয়।
নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়ে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ‘তারুণ্যই শক্তি’ এই স্লোগান ছিল। আরেকটি স্লোগান ছিল ‘আমার গ্রাম আমার শহর’, গ্রামে যাবে শহরের সব সুবিধা। বাংলাদেশের তরুণেরা এবার ব্যাপকভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন জানিয়েছেন। সে কারণে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের ধস নামানো বিজয় হয়েছে গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে দলের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এবং জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০২১, ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এপ্রিল মাসে দুই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া প্রচার উপকমিটিকে আবারও পুনর্গঠিত করে বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, সাবেক ছাত্রনেতা সুজাতুর রহমান, মাসুদুর রহমান ও সালাউদ্দিন রিপনকে সদস্য করা হয়েছে বলেও জানান হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংসদ শেখ সারহান নাসের তন্ময় প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পিবিএ/জিজি
