পিবিএ,ঢামেক: রাজধানীর আশকোনা ও কাওলা এর মধ্যবর্তী রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় মাহবুব আলম (৪৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তিনি ডেমরা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার পদে চাকরি করতেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার সময় রেললাইন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠায় ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশ ।
ঢাকা রেলওয়ে থানার বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, কাওলা ও আশকোনা এর মধ্যবর্তী রেললাইনে ঢাকাগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় মাহবুব ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বিস্তারিত আরো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ারর নবীনগর উপজেলার কায়তলা গ্রামের এম এ মান্নানের ছেলে মাহবুব। স্ত্রী শিউলি আক্তার, দুই মেয়ে সিফা (১৪) ও ইউশাকে (৬) নিয়ে মিরপুর শ্যাওড়া পাড়ার ৬০৬ নম্বর বাসায় থাকতেন তিনি।
নিহত মাহবুব আলমের ছোট ভাই আবু জাফর প্রদীপ জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে অফিস থেকে মাহবুব বাসায় ফিরেনি। রাত ৯ টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিলো। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস পাওয়া যাচ্ছিলোনা। পরে লোক মারফত তার মোবাইল ফোনেরর সর্বশেষ স্থানের সন্ধান করা হয়। সেখানে বিমানবন্দর এলাকাতে দেখানো হয়। পরে ওই রিতেই বিমানবন্দর থানায় গিয়ে তার নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ আগে তদন্ত করে পরে জিডি নিবে বলে জানান।
এরপর আজ সকালে মাহবুবের মোবাইল থেকে কল দিয়ে পুলিশ জানায়, আশকোনা রেলগেটে ট্রেনে কাঁটাপড়ে তিনি মারা গেছেন বলে জানানো হয়। পরে সেখানে গিয়া তার লাশ সনাক্ত করা হয়।
ছোটভাইয়ের অভিযোগ, তিনি ট্রেনের নিচে কাঁটাপড়েনি, অাত্মহত্যাও করেনি। সেরকম কিছু হলে আমরা আগেও কিছুটা টের পেতাম। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অামাদের ধারণা।
নিহতের গাড়ীচালক হাসানুজ্জামন স্বপন বলেন, আমি রেন্টে গাড়ি চালাই। মাহবুব স্যার প্রতিদিনই আমার গাড়ি ব্যবহার করতেন। গতকাল সকালে মিরপুরের বাসা থেকে ডেমরার অফিসে নিয়ে যাই। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে অফিস থেকে বের হন তিনি। গাড়িতে করে বাসায় ফিরছিলাম। এসময় তার মোবাইলে অনেকগুলো ফোন আসে। বিজয় সরণি এলাকায় আসলে তিনি বলেন, বিমানবন্দর চলো, ওখানে আমার একটা কাজ আছে। রাত পৌনে ৯ টায় আমি তাকে বিমানবন্দর বাসস্টপেজের ফুটওভার ব্রিজের নিচে নামিয়ে দেয়। এরপর তিনি ২৫শ টাকাও দিয়ে আমাকে চলে আসতে বলেন। এরপর থেকে আমি আর তার কোনো খবর জানিনা। তখন থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো।
পিবিএ/এইচএ/জেডআই