পিবিএ ডেস্ক: প্রত্যেক মেয়েদের জন্যই বলা হচ্ছে।মা হওয়ার আগেই জেনে রাখা উচিত।বিশেষ করে যখন কেউ গর্ভবস্থায় থাকে।
১।গর্ভাবস্থায় সাধারণত কি ধরণের সমস্যা হয়।
এই অবস্থায় খুব প্রচলিত যে সমস্যাটি হলো সেটা রুচি কমে যায়।তারপর বমির সমস্যা হয়।কারো দিনে চার থেকে পাঁচবার বমি হচ্ছে, সেটা নেওয়া যায়।
২।গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসোনোগ্রামের গুরুত্ব কতখানি?
এটা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা।প্রথম ট্রাইমিস্টারে যখন আসে, তখনই আমরা আল্ট্রাসোনোগ্রাম করি। এর সুবিধা হলো ডেটটা আমরা করতে পারি। দ্বিতীয় হলো গর্ভাবস্থাকে আমরা কনফার্ম করলাম। এর পরে আমরা ২২ থেকে ২০ সপ্তাহের মধ্যে একটি আল্ট্রাসোনোগ্রাম করি। একে আমরা বলি এনোমালি স্ক্যান। এটি করলে শিশুর সব দেখা যায়।
মস্তিষ্কের বৃদ্ধি, হৃদপিণ্ড, ফুসফুস, আঙ্গুল সবকিছু আমরা দেখতে পারি। দেখতে পারি ডেপলপমেন্টাল কোনো এনোম্যালি তার রয়েছে কি না। শেষের দিতে ৩২ থেকে ৩৪ সপ্তাহে আমরা আল্ট্রাসোনোগ্রাম করি। এটি থেকে আমরা বাচ্চার বৃদ্ধিটা দেখতে পাই। তাই আল্ট্রাসোনোগ্রামের ভূমিকাতো অবশ্যই রয়েছে। এ ছাড়া যখন প্রয়োজন তখন আমরা করি। এ ছাড়াও অন্য প্রয়োজনে করা যায়।
৩। প্রি-প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিংয়ের গুরুত্ব কতখানি?আপনারা কী কী বিষয়ে গুরুত্ব দেন?
প্রি-প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নতুন বিবাহিত দম্পতি তারা বাচ্চা নিতে চায়। তারা কিছুই জানে না বাচ্চা নিয়ে ফেলল। নেওয়ার পর দেখা যায় তার হয়তো ডায়াবেটিস ছিল। তার হয়তো বা প্রেশার ছিল, সে জানেই না। তাই তারা যদি পরিকল্পনা করার সময় আমাদের কাছে আসে, তাহলে আমরা তাদের ইতিহাস নিয়ে, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, দেখতে চাই যে তাদের কোনো ডিজঅর্ডার রয়েছে কি না। এটি আমরা ঠিক করে নিতে পারব। এরপর গর্ভাবস্থা নিলে মা ও শিশুর কোনো ঝুঁকি থাকে না।
আবার এমনও হয়, এ সময় আমরা একটা ভিটামিন দিই, যাকে আমরা জিংক বলি। এটা যদি কেউ গর্ভধারণের তিন মাস আগে থেকে খায়, তাহলে বাচ্চার অনেক সমস্যা হয় না। মূলত ফলিক এসিড, জিংক দুটোই আমরা দিই। আবার কারো যদি ডায়াবেটিস থাকে, সে হয়তো আগে থেকে জানে না, তাকে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করিয়ে বাচ্চা নেওয়াই তাহলে কনজেনিটাল এনোমালি প্রতিরোধ করতে পারি।
পিবিএ/বিএইচ