পিবিএ ঢাকা : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য আগামী রোরবার দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া ফের হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন জানান তার আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।
আইনজীবী সগীর বলেন, আদালতের দপ্তরে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন জমা দেয়া হয়। আর এ আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। জামিন পেলে তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন।
সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে আপিল বিভাগে জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর দুই মাসের মাথায় আবারও জামিন আবেদন করা হয়।
এর আগে গতবছরের ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় তার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। তবে আবেদনকারী (খালেদা জিয়া) যদি সম্মতি দেন তাহলে বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্টের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া। আপিলের পর হাইকোর্টে যা বেড়ে ১০ বছর হয়। পরে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর খালাস চেয়ে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়া জামিন আবেদন করেন।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
পিবিএ/জেডআই