পিবিএ ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানের মধ্যে আটকে রাখার পর ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহের পথে ছুঁটছে টাইগাররা। মুশফিকের অপরাজিত সেঞ্চুরি আর মুমিনুলের শতকে ভর করে ২০০ রানের লিডে দিয়েছে টাইগারারা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৪৬৫ রান। মুশফিকুর রহীম ১৫৭ ও লিটন দাস ২৪ রানে ক্রিজে আছেন।
ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। তার ব্যাটের ওপর নির্ভর করে জয়-পরাজয়ের গল্প তৈরি হয়। ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টে তিনি একাই লড়েছিলেন। দুটোতেই হাফসেঞ্চুরি করেছেন। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। একই ইনিংসে মুমিনুলের পর মুশফিক তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন।
মুশফিক ঠিক ১০ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। বাংলাদেশও এই টেস্টের আগে ১০ ইনিংসে সেঞ্চুরি খরায় ভুগছিল। এর আগে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ক্যারিয়ার সেরা ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। আজ সোমমার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন আবারও একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকান।
এই সেঞ্চুরি হতো আরও আগেই, ৯৯ রানের মাথায় মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফেরার পর দ্বিতীয় ওভারে এনডলবুকে সেঞ্চুরির মাইলফলক অর্জন করেন। মুশফিককে চাপে ফেলতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক দুজন বাদে সবাইকে নিয়ে আসেন বৃত্তের ভেতরে। ৯৫ থেকে ৯৯ রানে এসেছিলেন চার মেরে, ১০০ রানের ঘর ছুঁতে ৯ বল খেলেন মুশফিক। ১৬০ বলে ২৩০ মিনিটে ১৮টি চারের মারে ১০০ রান করেন বাংলাদেশের এই ব্যাটিং স্তম্ভ।
দিনের শুরুতে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ও ক্যারিয়ারের ৯ম শতকের দেখা পান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল। ডোনাল্ড টিরিপানোকে চার মেরে ১৫৬ বলে ১২ টি চারের মারে তিনি এই সেঞ্চুরি হাঁকান। শেষ পর্যন্ত ১৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মুমিনুলের আউটের পর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মোহাম্মদ মিথুন। ১৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৬৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী ও নাঈম হাসান।
পিবিএ/এএম