পিবিএ,ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। তার সুষ্ঠু চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
তিনি বলেছেন, আমরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে আদালতে আবারও জামিন আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন। এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে নেওয়া প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আদালতের রায়ের পর অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় খালেদা জিয়াকে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। সস্পূর্ণ বেআইনিভাবে জেলে রাখা হয়েছে তাকে। খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এজন্য বারবার খারিজ করে দেওয়ার পরও আমরা আদালতে আসি। খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করি। এর আগেও আবেদন করেছিলাম, সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, সেটা অসম্পূর্ণ। এরপর এর ওপর ভিত্তি করে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা আবারও জামিন আবেদন করেছি। আদালতে আমরা সব বিষয় অবহিত করে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু আদালত আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন।
সিনিয়র এ আইনজীবী বলেন, বিএসএমএমইউ হাসপাতাল সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সেখান থেকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে তা অসম্পূর্ণ। ওই হাসপাতালে নিরপেক্ষ কোনো রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব নয়। আমরা যখনই রিপোর্ট কল করি তখনই সেভাবে রিপোর্ট দেয়। আদালতে আমরা খালেদা জিয়ার বেল পিটিশন করি। আমরা যতদিন সময় চাই আদালত ততদিন সময় দেন। কিন্তু এই আবেদনে এখনই আদেশ দেওয়া হয়। রিপোর্টটি আমাদের দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। আমরা দুইটা পর্যন্ত সময় চাই। পরে সময় দেওয়া হয়। আমরা চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছি।
খালেদার আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়াকে যেসব মেডিসিন দেওয়া হয় তা তিনি নিতে চান না। কারণ সেগুলো লাইফ থ্রেটিং। তবে আদালত আমাদের অনুমতি দেননি। তার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণেই তিনি সঠিক চিকিৎসা নিতে পারছেন না। আমরা আদালতকে বলেছি- তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা যেখানে হয়েছিল অর্থাৎ যেখানে তার অপারেশন হয়েছে সেখানেই তাকে নেওয়া হোক। আদালত আদেশ দিয়েছেন- আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রোপার চিকিৎসার জন্য বলেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা মনে করি- দেশের সর্বোচ্চ আদালতের (খালেদা জিয়ার) আবেদনটি বিবেচনা করা উচিত ছিল। প্রোপার জাস্টিস আমরা পাইনি। আমরা আইনজীবীরা আলোচনা করবো, এরপর পরবর্তী করণীয় ঠিক করে জানানো হবে।
পিবিএ/এমআর