পিবিএ ডেস্ক: আবারও বহিস্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার নতুন ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ভিডিওতে পাপিয়াকে নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এক সংসদ সদস্যকে বারিধারার একটি বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, চাঁদাবাজি ও হুমকি-ধমকি দিতেই সেদিন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন যুব মহিলা লীগের ওই দুই নেত্রী। সেদিনের ঘটনায় বাড়ির মালিকের পক্ষে বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান গ্রুপ ফোর জিডি করেছিল। জিডিতে ওই বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র মতে, চাঁদা আদায় ও অনেক অপকর্মে পাপিয়ার সঙ্গে যেতেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও সাবেক একজন সংসদ সদস্য। নেপথ্যে কারিগর ছিলেন দলের পদধারী আরেক নেত্রী। এদিকে ভিডিওতে থাকা সাবেক এমপি ও যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরকারের উচ্চপর্যায়ে অনুমতি চেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনুমতি পেলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে, পাপিয়ার সঙ্গে সাবেক সাংসদ সাবিনা আক্তার তুহিনের নাম বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘুরেফিরে আসছে। তবে এ সাবিনা আক্তার তুহিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। এ বিষয়ে সাবিনা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাবিনা আক্তার তুহিন আরো বলেন, ‘পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন? আমি কি অন্যায় করেছি? আমি রাজনীতি করি। সেই সূত্রে পাপিয়া কেন, সারা দেশে দলের আরো অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। এটাই সত্য। এর বাইরে পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে আমাকে নিয়ে যা যা বলা হচ্ছে, লেখা হচ্ছে তার কোনো সত্যতা নাই।
যদি সেই সাবেক নারী সাংসদ সাবিনা না হন, তাহলে তিনি কে? এই প্রশ্ন এখন জনমনে ঘুরছে। গত ২৫ ডিসেম্বরের এই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডে বারিধারার ওই বাড়ির সামনে এসে থামে সাদা রঙের বিলাসবহুল একটি জিপ। কিছুক্ষণ পরই গাড়ির দুই পাশ দিয়ে নামেন পাপিয়া ও ওই সাবেক নারী সংসদ সদস্য। মিনিট পাঁচেক গেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গ্রুপ ফোর কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পর গাড়ি থেকে শাড়ি পরা আরেক নারী নেমে আসেন। এরপর কয়েকজন নারী ও পুরুষ সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন তিন নারী। গেটের সামনে সঙ্গীদের রেখে তিনজনই প্রবেশ করেন বাড়ির ভিতরে। এর বেশ কিছু সময় পর ওই বাড়ি থেকে দুজনকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
রিমান্ডে তাকে জড়িয়ে পাপিয়ার দেয়া তথ্যের বিষয়ে সাবিনা আক্তার বলেন, ‘আমার সৎসাহস আছে। আমি অন্যায় করলে, কোনো প্রমাণ থাকলে তার দায় আমি নিতে রাজি আছি। তাই বলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমাকে সমাজে কালার করার কোনো মানে হয় না। আমার কোনো অপরাধ থাকলে, তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যদি আমার সহযোগিতা চায় আমি তাদের সহযোগিতা করব।
রিমান্ডে পাপিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘পাপিয়াসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত আছে। এরই মধ্যে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য জানানো যাচ্ছে না। তবে পাপিয়ার তথ্যের সত্যতা জানতে ও তদন্তের প্রয়োজনে আরো অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
https://www.facebook.com/DhakasNews.official/videos/881333392314055/?t=281