পিবিএ,ঢাকা : প্রবাসীরা দেশে এলে নবাবজাদা হয়ে যান। তাঁরা কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার বিষয়ে খুব অসন্তুষ্ট হন। ফাইভ স্টার হোটেল না হলে তাঁরা অপছন্দ করেন বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ।
আজ রোববার রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদেরতো দৈন্য আছে। এটা তো একটা বিশেষ অবস্থা। আমরা যাঁদের নিয়ে আসি, তাঁদের হজক্যাম্পে রাখি, এখন আরও কয়েকটা হাসপাতালও জোগাড় করেছি।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘গতকাল খুব অস্থিরতা করেছেন। তাঁরা দেশে আসছেন, কোনো কোয়ারেন্টিনে যেতে চান না। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে যাবেন, এই আগ্রহে আসছেন। আমরা যেখানে রেখেছিলাম, আগেও রেখেছিলাম, তাঁরা সেটা পছন্দ করেননি।
বাংলাদেশে ফ্ল্যাট বাথরুম, তাঁরা কমোড বাথরুম ইউজ করেন, সুতরাং তাঁদের অসুবিধা হয়েছে। আমরা সেখানে পর্যটন থেকে খাবার দিয়েছি, তাঁরা মনে করেন সোনারগাঁও, ফাইভ স্টার থেকে খাওয়ার দেওয়া উচিত। সেটা দিতে পারিনি। সে জন্য তাঁরা অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তাঁদের বিভিন্ন রকম অভিযোগ ছিল। তাঁরা মনে করেন এগুলো খুব নোংরা।’
এ কে মোমেন বলেন, যেসব দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেশি, সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ রাত ১২টা ১মিনিট থেকে এটা কার্যকর হবে। সরকারের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে রক্ষা করা।
কয়েকজনের কারণে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ অসুস্থ হোক সরকার তা চায় না। কারণ বিভিন্ন ধরনের দুর্বলতা আছে। সরকার আগে আবেদন করেছিল যাতে যাঁরা প্রবাসে আছেন, তাঁরা আরও কিছুদিন সেখানে থাকেন। কিন্তু তাঁরা সেটা শুনেননি। সে জন্য বাধ্য হয়ে ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে।
ঠিক কতটি দেশের ফ্লাইট বন্ধ করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ইউরোপকে যেহেতু এপিসেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে, সে জন্য যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য দেশগুলো এবং যেসব দেশে প্রকোপ বেশি, যেমন: চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এসব দেশ থেকে কেউ এখন আসুক তা সরকার চায় না।
তিনি বলেন, কেউ যদি ২৮ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো দেশ ভ্রমণ না করে থাকেন, তাহলে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে আসতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি নাগরিককে ভারত তাদের দেশে যেতে দিচ্ছে না। বাংলাদেশও আজ থেকে ভারতের নাগরিকদের এ দেশে আসতে দেবে না।
পিবিএ/জেডআই