শিক্ষা উপমন্ত্রীর ফেসবুক পোষ্ট

‘‘সতর্কতা ও পরিচ্ছন্নতার সাথে জীবনযাপনের আলোচনাই আমরা করি’’


পিবিএ, ঢাকা : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিজে সর্তকতা অবলম্বন এবং অন্যকে সচেতন করা প্রত্যেক দায়িত্বশীল নাগরিকের কর্তব্য। তবে করোনা প্রতিরোধের সচেতনতার নামে বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক আলোচনাও থেমে নেই।
সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সেদিকেও দৃষ্টি রয়েছে। মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির নামে নেতিবাচক প্রাচরণা থেকে বিরত থাকতে তাঁর ফেইসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
‘‘সতর্কতা অবলম্বন আর আতংক ছড়ানো এক নয়। অনেকে সকাল বিকাল করোনা সতর্কতার জন্য যেই ভাবে আলোচনা করছি, এতে মনে হচ্ছে করোনার কারনে মৃত্যুর চাইতে, সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে, ঘড়ে বসে না খেতে পাওয়াকেই অনেকে ভালো মনে করছি।
করোনার জন্য সতর্ক হওয়ার সচেতনতা সৃস্টি ভালো। কিন্তু দিনরাত ফেসবুকে আতংক ছড়িয়ে সকল অর্থনৈতিক, সামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করার কোনো প্রয়োজন নাই।
বাংলাদেশ মঙ্গল গ্রহে নয়, এই পৃথিবীর আলোবাতাসেই বাংলাদেশ। করোনা বাংলাদেশে আছে, আসবে। আমাদের এর নিয়ন্ত্রণের জন্য সার্বিকভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, যত্র তত্র থুথু, কফ, নাকের ময়লা, বাসাবাড়ির ময়লা ফেলা, প্রস্রাব করা, এইসব প্রবৃত্তি কমানোর সচেতনতা তৈরি করা দরকার। সবকিছু বন্ধ করেও ইতালী পারেনাই বিস্তার রুখতে। এই ভাইরাসের চিকিৎসা উপসর্গ ভিত্তিক। তাই আগে থেকে চিকিৎসা নাই, চিকিৎসা চাই আলোচনা, হাসপাতালে টেস্ট এর জন্য ভীড়, কেনো টেস্ট করা হচ্ছেনা এই আলোচনা, এগুলো পরিহার করতে হবে। করোনার উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে আবদ্ধ করতে হবে, তাই করোনা হয়েছে সন্দেহে হাসপাতালে ভীড় করলে হীতে বিপরীত হবে।
আসুন স্বাভাবিক কার্যক্রম বাদ দেয়ার আলোচনার চাইতে সতর্কতা ও পরিচ্ছন্নতার সাথে জীবনযাপনের আলোচনাই আমরা করি।
আতংক, শংকা, ভীতি, এসব এর কারণে আমরা করোনা যা ক্ষতি করবে এর চাইতে বেশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি আমরা নিজেদের করবো।’’

বিশ^ব্যাপী করোনা বিস্তার রোধে সব থেকে জরুরী হচ্ছে মানুষের সচেতনতা। চীন খুব দ্রুত এই পদ্ধতী অবলম্বনের কারনে অল্পদিনের ব্যবধানে করোনা বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে বাংলাদেশে এই রোগের বিস্তার ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। সেক্ষেত্রে জনসাধারণের সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপ্রাণ এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ সকল ভেদাভেধ ভুলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা অবলম্বন করাই প্রথম এবং প্রধান কাজ।

পিবিএ/মোআ

আরও পড়ুন...