পিবিএ, ঢাকা;
করোনাভাইরাস দ্রুতই ছড়াতে শুরু করেছে! যা সাধারণ মানুষের জানার বাইরে। এই অবস্থায় সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তই মানুষের জানমাল রক্ষা করতে পারে। এ বিষয়ে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সাংবাদিক রাজিব নুর তার ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছে। তিনি লিখেছেন-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
করোনাভাইরাস দ্রুতই ছড়াতে শুরু করেছে! এর জন্য যেসব প্রতিরোধব্যবস্থা নেয়া দরকার তা এখনো তেমন দেখা যাচ্ছে না। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে- এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জনমনে এরইমধ্যে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ রীতিমতো হাসতে ভুলে গেছে। অদৃশ্য এই শত্রু কখন কোন ফাঁকে কোনো বাড়িতে, কোন অফিসে হানা দেবে কেউ জানে না! একদিন লক্ষ লক্ষ লোক এতে আক্রান্ত হতে পারে এমন আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ। মানুষকে কিছুদিনের জন্য ঘরে বন্দি করে ফেলা ছাড়া ভয়াবহ সংক্রামক এ ভাইরাসের হাত থেকে তাদেরকে রক্ষা করা কঠিনই।
আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে, লকডাউন বা জরুরি অবস্থা জারি করার কারণে বেশ কিছু দেশ তার সুফল পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন।
পরিস্থিতি আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
অফিস-আদালত খোলা থাকায় যাদেরকে নিয়মিত অফিস করতে হচ্ছে তারা সকলেই আছেন করোনার ঝুঁকিতে। এই ঝুঁকি থেকে মুক্ত নন, আপনার আশেপাশের মানুষরাও।
আমরা মনে করি, অবিলম্বে ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা উচিত। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামী ৬ মাস অফিসসময় ৮ ঘন্টার বদলে ১০ ঘণ্টা করে দেয়া যেতে পারে। সরকারি অফিসগুলোতে শনিবারের ছুটি বাতিল করা যেতে পারে।
কিন্তু করোনাপরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠবার আগেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
প্লিজ, পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠার আগেই যতো দ্রুত সম্ভব সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করুন।
আপনিও নিশ্চয়ই মানবেন, মানুষ বাঁচলে দেশও বাঁচবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এমন একটি মানবিক আবেদনে সাড়া দেবেন না তো কে দেবে? দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনি নিশ্চয়ই সঠিক সিদ্ধান্তটিই নেবেন।
আপনি আমার শ্রদ্ধাসহ সালাম ও ভালোবাসা জানবেন।
* (প্রিয় বন্ধুরা, এই আবেদনটি কপি-পেস্ট করে নিচে দিতে পারেন আপনার নিজের নাম-পরিচয়ও। আমি এটি নিয়েছি কবি ফরিদ কবিরের কাছ থেকে। যার নামে হোক তিনি চান আবেদনটি বেশি করে পৌঁছাক। আমিও তাই চাই।)
পিবিএ/মোআ