পিবিএ ডেস্ক : তার মাসিক আয় আড়াই কোটি টাকা। সেটাও আজ থেকে ২০ বছর আগে। পর্নো ইন্ডাস্ট্রি থেকে অবসর নিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগেই। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন। যার কথা বলছি তিনি পর্নো তারকা মেরি ক্যারি।
এই পর্নো তারকার জীবন একেবারে সিনেমার মতো। মেরির তখন তিন মাস বয়স। মেরির মায়ের স্কিৎজোফ্রেনিয়া ধরা পড়ায় দাদ-দাদী তাকে তার মা ও মানসিক ভারসাম্যহীন বাবার কাছ থেকে নিয়ে যান। দত্তকও নিয়েছিলেন পরে।
ফ্লোরিডার ক্লিভল্যান্ডে ব্যালে নাচ শিখতে শুরু করেন তিনি। কাজ করতেন ব্যালে ট্রুপে। কিন্তু আচমকাই পারকিনসনস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তার দাদী। কিশোরী মেরি ব্যালে নাচের মতো রোগা ছিলেন না। তাই দল থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাকে। ফ্লোরিডা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদক পাওয়া মেয়েটিকে কাজ খুঁজতে বেরোতে হল।
ফিগারের কারণেই প্রথমেই স্ট্রিপারের কাজ পেয়েছিলেন মেরি। দাদীকে দেখার জন্য সেই কাজ নিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে লস অ্যাঞ্জেলসে এসে প্লে বয় টিভি-তে কাজ শুরু করেন। পর্নো ইন্ডাস্ট্রিতেই কাজ করে সংসার চালাতেন মেরি। ইন্টারনেট স্ট্রিপার হিসাবে জনপ্রিয় মেরি প্রতি মাসে প্রায় আড়াই কোটি টাকা রোজগার করতেন বছর ২০ আগেই।
আস্তে আস্তে এই পেশা থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। ক্যালিফোর্নিয়া গভর্নর গ্রে ডেভিসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। মেরি ও তার বস মার্ক কুলকিস ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রেসিডেন্টের লাঞ্চ ইভেন্টেও অংশ নিয়েছিলেন। ভোটে দাঁড়ানোর কারণেই সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন তিনি।
বর্ণময় এই পর্নো তারকা স্বামীর সঙ্গে একবার গ্রেফতারও হয়েছিলেন বেআইনি অস্ত্র সঙ্গে রাখার অভিযোগে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়্যাল্সের নাম জড়ানোর পর পেশাগত ‘চিরশত্রু’ স্টর্মিকেই সমর্থন করেছিলেন মেরি।
পিবিএ/জিজি