পিবিএ,কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান প্রবেশকালে টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন জন নিহত হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুক্রবার রাতে সীমান্তের টেকনাফ লেদার ছ্যুরিখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি বলছে, তারা তিনজনই মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান নিয়ে আসছিল।
শনিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চত করে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার বড় চালান টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করছে, এমন গোপন সংবাদের খবরে বিজিবির একটি বিশেষ টিম টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার ছ্যুরিখাল নামক এলাকায় নিকটস্থ নাফনদী এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় একটি নৌকায় ৪-৫ জন লোক ওই এলকা দিয়ে প্রবেশ করে। তাদের দেখে সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করলে বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে স্বশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়।
বিজিবির এই কর্মকর্তা জানান, পরে বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি করতে করতে নৌকা থেকে লাফ দিয়ে কেওড়া বাগানের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকা থেকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত তিনজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা, দুটি দেশীয় তৈরি বন্ধুক, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি গুলির খালি খোসা, ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে একই দিন রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মুছা আকবর (৩৬) নামে আরও এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের তুলাতুলী এলাকায়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, ‘বিজিবি ও পুলিশ গুলিবিদ্ধ চার ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। আহত বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পিবিএ/এএম