ছাত্রীকে যৌন উত্তেজক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষনের অভিযোগ

পিবিএ,নওগাঁ: নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাশোঁপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) রেজাউল হককের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত মেধা বৃদ্ধির প্রলভন দেখিয়ে যৌন উত্তেজক ও চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে ওই বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল পলাতক রয়েছেন। এঘটনায় দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের অভিযোগ অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল হক এরকম কাজ বারবার করেছে। এর আগে এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীর সাথেই তাকে বিবাহ দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দিলেও থেমে থাকেনি তার অপকর্ম। স্কুলে প্রাইভেট-কোচিংয়ের সুযোগ নিয়ে সুন্দরী ছাত্রীদের মেধা বৃদ্ধি হবে এমন মিথ্যা কথা বলে প্রথমে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট খাওয়ায় ওই শিক্ষক। তারপর ওই ছাত্রীর সাথে সেক্সুয়াল কথা বার্তা বলে যৌন উত্তেজিত করে তাকে ধর্ষন করতেন পরবর্তীতে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে বাধ্য করতেন শিক্ষক রেজাউল হক। সবশেষ গত ২৫ মার্চ বুধবার সকাল ১০ টায় স্কুল ছুটির দিন স্কুলের একটি রুমে একই ঘটনা ঘটিয়েছে ১০ম শ্রেনির এক ছাত্রীর সাথে। শিক্ষক রেজাউল হকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করে ওই ছাত্রীর বাবা এমদাদুল হক বলেন, আমার মেয়েকে যৌন উত্তেজক ঔষধ খাইয়েছে ওই শিক্ষক।

একই অভিযোগ পাওয়া গেছে ৯ম-১০ম শ্রেনির একাধিক ছাত্রীর বাবা-মার কাছ থেকে। স্কুল ম্যানিজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এই ঘটনায় বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষক এক জরুরী সভার মাধ্যমে গতকাল শুক্রবার তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। শুধু বরখাস্তই নয় এই লম্পট শিক্ষকের আমরা দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি চাই। এবিষয়ে কাশোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকসেদ আলী প্রামানিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে রেজাউল হককে ডেকে এবিষয়ে ব্যাখা চেয়েছিলাম। রেজাউল তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেছেন ভবিষ্যতে তিনি এমন কাজ আর করবেন না।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আল-মামনুর রশিদ (আলম) বলেন, গত ২৫ তারিখের ঘটনাটি জানার সাথে সাথে আমি প্রধান শিক্ষককে জরুরি মিটিং কল করতে বলেছিলাম। ২৭ তারিখের ওই মিটিংয়ে শিক্ষক রেজাউল হক তার অপরাধ স্বীকার করে নিজে থেকেই পদত্যাগ করেছেন। মিটিংয়ের পরবর্তী দিন শনিবার (২৮ মার্চ) তার পদত্যাগের বিষয়ে চুড়ান্ত সীদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, আমি নিজেও ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমার কাছে আগে প্রতিষ্ঠান পরে শিক্ষক। এমন শিক্ষকের জন্য আমি প্রতিষ্ঠান নষ্ট করতে পারিনা।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম তার পদত্যাগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ওই ছাত্রীর সাথে রুমে শুধু গল্প করেছি এবং বলেছি আজ স্কুল এবং প্রাইভেট ছুটি আছে তুমি স্কুল থেকে চলে যাও। আমি তার সাথে কোন খারাপ কিছু করিনি। এটা একটা চক্রান্ত। অপরাধ না করে থাকলে পদত্যাগ করলেন কেনো, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহ আলম শেখ বলেন, এখন পর্যন্ত আমি এবিষয়ে লিখিত ভাবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পিবিএ/সুমন আলী/এসএএন

আরও পড়ুন...