করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ

গাজীপুরে ৩০ হাজার কিট অনুমোদন দিতে গড়িমসি!


পিবিএ, ঢাকা : গাজীপুরে সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ৩০ হাজার র‌্যাপিড টেষ্ট কিট আমদানি করেছেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অপারগতা ঢাকতেই মেয়রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আনা কিট অনুমোদন দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার রাতে আইইডিসিআরের মহাপরিচালক একাত্তর টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর ৫ দিন অতিক্রান্ত হলে র‌্যাপিড টেষ্টের এইসব কিট থেকে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে। করোনার লক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই যশোর, দিনাজপুরসহ দেশে ৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এখনো সারাদেশ থেকে করোনার উপসর্গে ভোগা রোগির কল তারা পাচ্ছেন। আইইডিসিআরের হট লাইনে তারা দুইদিনে প্রায় সারে ৭ হাজার কল পান। সেখান থেকে মাত্র দুই’শ লোকের নমুনা পরীক্ষা করতে পেরেছেন।
তিনি আরও জানান, তাদের হাতে প্রায় ৭৫ হাজার সিএসআর পদ্ধতির কিট রয়েছে।
ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, কিট স্বপ্লতা নেই তা নিশ্চিত। আইইডিসিআর কি কারনে এত কম পরীক্ষা করছেন। অন্যদিকে ব্যক্তি উদ্যোগে আমদানি করা র‌্যাপিড টেস্ট কিটও অনুমোদন পাচ্ছে না। এখনই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওইসব র‌্যাপিড টেস্ট কিট অনুমোদন দিলে ভবিষ্যতে দ্রুত কার্যকরে ভূমিকা রাখবে। যেহেতু আক্রান্ত ব্যক্তির সপ্তাহ গত হলেই লক্ষণ দেখা যায় তাই র‌্যাপিড টেষ্ট কিট সেসব ক্রনিক রোগির রোগ সনাক্ত করতে সহায়ক হবে। সময় মত অনুমোদন না পেলে কয়েক কোটি টাকার টেষ্ট কিট বিনষ্ট হবে। যা প্রকারান্তরে দেশের আর্থিক ক্ষতি

বিশেষজ্ঞ মতামত হচ্ছে, বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে বর্তমানে তৃতীয় ধাপে রয়েছে। এখনই র‌্যপিড টেষ্টের মাধ্যমে প্রকৃত সংক্রমিত ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে হবে। নচেত অজ্ঞতা বশতঃ ভাইরাস ব্যপক ছড়িয়ে পরার আশংকা রয়েছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত টেষ্ট কিট নিয়েও এমন গড়িমসিতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। কিছু অতি উৎসাহি সরকারি আমলা নিজেদের জাহির করতে ব্যস্ত। সবকিছু তারা নিজেরাই করতে সক্ষম এটা প্রমাণ করতে গিয়ে জনসাধারণের অপুরণীয় ক্ষতি করছেন। আর বিলম্ব না করে যত দ্রুত সম্ভব টেস্ট কিট অনুমোদন দেয়াই হবে শুভ বুদ্ধির পরিচয়।

এ ব্যপারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে পিবিএকে বলেন, আমদানীকৃত টেষ্ট কিট রাজধানীর প্রধান প্রধান সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারাই অনুমোদনের বিষয়টি দেখবেন।

এ ব্যপারে জানতে, ঔষধ প্রশাসনে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাদের কাউকে পাউয়া যায়নি।

পিবিএ/মোআ

 

আরও পড়ুন...