করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ

‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার’ – শেখ তন্ময় এমপি

পিবিএ,বাগেরহাট : ‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার’ এই স্লোগান নিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাগেরহাটে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম চিকিৎসসেবা চালু হয়েছে। বাগেরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় এমপির সহযোগীতায় হটলাইনে ফোন পেয়ে রোগীর বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করছেন।

বুধবার ১ এপ্রিল দুপুরে বাগেরহাট শহরতলীর দক্ষিণ মাঝিডাঙ্গা গ্রামের রশীদ তালুকদার ও রঞ্জিলা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা চিকিৎসকরা। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সহকারী সার্জন সাইমুন ইসলাম সাঈদ ও মেডিকেল অফিসার মিরাজুল করিম ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম পরিচালনা করছেন।

রোগীর স্বজন হানিফ বলেন, বাড়িতে আমার দাদু রশীদ তালুকদার খুব অসুস্থ ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের মুঠোফোন নম্বরে ফোন করলে দুই জন চিকিৎসক বাড়িতে চলে আসেন। চিকিৎসা দিয়ে যান। আমরা খুব খুশি হয়েছি।

স্থানীয় পল্টু মল্লিক বলেন, এক সময় হাসপাতালে গিয়ে ঠিকমত চিকিৎসা পেতাম না। আজকে দেখলাম মোবাইলফোন করার সাথে সাথে চিকিৎসক চলে আসলেন বাড়িতে। সরকারের এই উদ্যোগে আমরা খুব খুশি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, গণপরিবহন বন্ধ ও করোনা ভাইরাসের ভয়ের কারণে হাসপাতালে রোগী আসছেন না। এ কারণে আমরা হট লাইন চালু করেছি। পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনায় ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টিম গঠন করা হয়েছে। তিনি এই পরিস্থিতিতে রোগীদের জরুরি সেবা প্রদানের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন। রোগীর বা রোগীর স্বজনদের কল পেলে আমাদের চিকিৎসকরা রোগীর বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, বাগেরহাট সদর আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। রোগীর স্বজনদের ফোন পেয়ে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিমের চিকিৎসকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। আমরাও চিকিৎসকদের সার্বিক সহযোগিতা করছি। এ ধরণের উদ্যোগ নেয়ায় সংসদ সদস্যকে বাগেরহাটবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বাগেরহাট জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের যে হট লাইন ফোন নম্বর রয়েছে, তাতে প্রতিদিন দুই শতাধিক মানুষের কল পাচ্ছি। আমরা সাধ্যমত সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। ফোনে আমরা ওষদের নাম বলে দিচ্ছি। তবে যারা শুনে ওষধের নাম লিখতে পারেন না, আমরা তাদেরকে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছি। ওই ম্যাসেজ ফার্মেসিতে দেখালে তারা ওষুধ দিয়ে দিবেন।

পিবিএ/শেখ সাইফুল ইসলাম কবির/মোআ

আরও পড়ুন...