‘আমির-নাসির মিরজাফর এবং জয়চাঁদের মতো বিশ্বাসঘাতক!’

Amir

 

পিবিএ ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা আমির খান এবং নাসিরউদ্দিন শাহকে পলাশীর যুদ্ধের ঐতিহাসিক চরিত্র মিরজাফর এবং জয়চাঁদের মতো বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করলেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার।

গতকাল সোমবার আলিগড়ে একটি জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় আমির খান, নাসিরুদ্দিন শাহকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করেন ওই আরএসএস নেতা। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সুসম্পর্কের জেরে আক্রমণ করতে ছাড়েননিকংগ্রেস নেতা নভোজিৎ সিং সিধুকেও।

ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘তারা ভাল অভিনেতা হতে পারেন, কিন্তু বিশ্বাসঘাতক হওয়ার জন্য তারা সম্মানের যোগ্য নন। তারা ঠিক মিরজাফর এবং জয়চাঁদের মতো।’ এর পরে আরও স্বর চড়িয়ে বলেন, ‘২৬/১১ মুম্বাই হামলার দোষী আজমল কাসাভ, ইয়াকুব বা ইশরাত জহার মতো কোনও মুসলিম এই দেশ চায় না। চায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের মতো মানুষ। যারা কালামের দেখানো পথে চলেন তাদেরই প্রয়োজন, আর যারা কাসাভের দেখানো পথে চলেন, তারা আসলে বিশ্বাসঘাতক।’

সম্প্রতি নাসিরুদ্দিন শাহ মুম্বাইয়ে প্রাক্তন পাক বিদেশমন্ত্রী খুরশিদ মোহাম্মদ কাসুরির বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরেই তার নামের সঙ্গে ‘ভারত বিদ্বেষী’ তকমা জুডে দেওয়ার চেষ্টা করে শিবসেনা। তার উপর বুলন্দশহরে ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহের মৃত্যুর পর নাসিরুদ্দিন মন্তব্য করেন, ‘এদেশে পুলিশের চেয়ে গরুর দাম বেশি।’ সেটা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়। নাসিরুদ্দিন শাহ ক্রমশ ‘পাকিস্তানি চর’ হয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘একটা ছবিতে তিনি এই চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন, আমার ধারণা তিনি ক্রমশ সেই চরিত্রেই প্রবেশ করছেন।’

প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা সরফারোজ ফিল্মের প্রসঙ্গ তুলে ধরেই এই মন্তব্য করেছিলেন। কারণ ১৯৯৯ সালের এই বলিউড ফিল্মে নাসিরুদ্দিন একজন পাকিস্তানি চরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।

সিধুও বন্ধু হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ নেওয়ার দিন পাকিস্তানে যান, সেই অনুষ্ঠানে পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করেন তিনি। তারপর তার বিরুদ্ধেও সমালোচনা শুরু হয় দেশজুড়ে। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন আমির খানও। এদিন এসব প্রসঙ্গ তুলে ধরেই নাসিরুদ্দিন, আমির এবং সিধুকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ করেন আরএসএস নেতা।

তবে এই সভা থেকে শুধু এই তিনজনকে আক্রমণ করেই শান্ত থাকেননি ইন্দ্রেশ। অযোধ্যা মামলার দেরির জন্য তিনি কংগ্রেস, সিপিএম, সাম্প্রদায়িক শক্তি এমনকি, সুপ্রিম কোর্টের কিছু বিচারপতিকেও দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, ‘অযোধ্যা মামলায় দেরি হওয়ায় জন্য প্রথম দায়ী কংগ্রেস, দ্বিতীয় বামপন্থী দলগুলো, তৃতীয় সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং চতুর্থ কিছু বিচারপতি যারা বারবার মামলা পিছিয়ে দিচ্ছেন। আমি সমস্ত সাধু-সন্ন্যাসীদের অনুরোধ করছি তারা যেন কংগ্রেস-বাম অফিস এবং ওই সমস্ত বিচারপতির বাসভবনের বাইরে ধর্না দিতে বসেন।’

পিবিএ/জিজি

আরও পড়ুন...