পিবিএ ডেস্ক : মাদকের সঙ্গে পুলিশের কেউ যুক্ত থাকলে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বাড্ডার আফতাব নগর এলাকায় পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ ও সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোলরুমের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, পৃষ্ঠপোষকতা অথবা সহায়তা করে তা হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে অন্যরাও দেখে ভয় পায়।
অপরাধ শূন্য করতে হলে সিসি ক্যামেরার বিকল্প নেই, উল্লেখ করে তিনি বলেন, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। গুলশান, বনানী, বারিধারায় সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধ শূন্যের কোটায় এসেছে।
‘তারই ধারাবাহিকতায় আফতাব নগরে একশটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুরো আফতাব নগর এলাকায় এখন থেকে আর অপরাধ থাকবে না। কেউ অপরাধ করার সাহস পাবে না। করলেও পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। খুব সহজে পাকড়াও করা যাবে।’
রাজধানীতে অপরাধ কমানোর জন্য ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখন সেটা অনেক কাজে লাগছে। গুলশানে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে তা ছিল নজিরবিহীন।’
‘প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ একের পর এক জঙ্গি আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছে। দেশে এখন আর জঙ্গি নেটওয়ার্ক নেই।’
সবার জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে মন্তব্য করে আছাদুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা শহরে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই নেই বললেই চলে। এরপরেও দুয়েটি ঘটনা ঘটলে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে তা ডিটেক্ট করা হয়।’
‘এটি সিসিটিভির মাধ্যমেই সম্ভব হচ্ছে। এখন আর ব্যবসায়ীকে চাঁদা দিতে হবে না। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঢাকা শহরের কোথাও মাদকের আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেলে তা ভেঙে তছনছ করা হবে। কড়াইল বস্তি ও কারওয়ানবাজারের মতো মাদক আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মাদকের লগ্নি কারা করছে তা খোঁজা হচ্ছে। সে যেই হোক না কেন, তার কোমরে রশি পরানো হবে।
এর আগে বাড্ডা ইউলুপ থেকে পুলিশ সেবা সপ্তাহের র্যালি নিয়ে আফতাব নগরে আসেন। র্যালি শুরুর আগে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক ও ভূমি দখলকারীরা যতবড় ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিবিএ/এআর