করোনাকালের ডায়েরি ১১ এপ্রিল ২০২০


শতাব্দী আলম : ‘লকডাউন ঘোষণা’ অতি উৎসাহি নেতাদের ক্ষমতা দেখানোর নতুন উপসর্গ ! অথচ জরুরী খোলা বা লাগানোরও ব্যবস্থা থাকে না। কেহ গুরুতর আসুস্থ হলে কি পরিণতি হবে!
রোজকারমত বেলা সাড়ে ১০ টায় বাইক নিয়ে বের হই। টঙ্গী কলেজ রোড যেখানে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিশেছে, সেখানে মূল ফটকে তালা। ক্ষমতার লকডাউন। আমার বাইকের চাকা একধাপ উঁচু ফুটপাথে তুলে দিলাম। ফুটপাথ কেন বলছি ! এখনতো কোন মানুষ নেই বললেই চলে। ফাঁকাপাথে।
চেরাগআলী মানুষের জটলা। একজন ন্যাড়া মাথা ক্যাবলা টাইপ মনুষের হ্যান্ড কাপ লাগানো। ন্যাড়া মাথা। মুখে মাস্ক নেই। গাল গুলো একটু বেশী গোল। তাই ক্যাবলা বলা। হাতে হ্যান্ডকাপ নিয়েই পুলিশকে রীতিমত শাসাচ্ছে, ‘আপনারা খালি খালি গরিব মাইনষ্যের সাথে পারেন। ঐ যে গাড়ি চলতাছে। তাগো তো কিছু কইলেন না।’’

ইনটারেস্টিং ! চলন্ত বাইক সাঁই ব্রেক কষলাম। দারোগা বললেন, প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বের হওয়া নিষেধ অথচ রিক্সা গুলো ৩/৪ জন চড়িয়ে চলাচল করে। তাই রিক্সা থামিয়ে মানুষ নামিয়ে দিচ্ছি। ৩টা রিক্সাও আটকানো হয়েছে। উনি আসছেন। রিক্সা কেন আটকাই। শুরু থেকেই ধমকাচ্ছে। বাধ্য হয়ে হ্যান্ডকাপ দিয়ে রাখা হয়েছে।’’

মোবাইল ভিডিও অন করে মোঃ সিদ্দিককে হেতু জিজ্ঞেস করে সারমর্মে বুঝলাম, তিনি সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তা প্রহরী। পুলিশকে তিনি শাসাতেই পারেন! এমন ভাব। ’’
আমি দারোগাকে এই কাজের জন্য ধন্যবাদ দিলাম, সাথে অনুরোধ করলাম ওকে হাজতে দেন। আপনিই সঠিক কাজ করছেন।’ অফিসে এসে সেই ভিডিও আমার পিবিএ নিউজ এজেন্সি ইউটিউব চ্যানেলে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত শতাধিক ভিউ।
আমি সাংবাদিকতা বেশ এনজয় করছি। মানব জাতির এই মহামারিকালে আমরা যুদ্ধে শামিল। ইতিহাস শত বছরে এমন মানবতার যুদ্ধের সুযোগ পাওয়া যায়। আমি সুযোগ পেয়েছি। আমি সৌভাগ্যবান। হাদিসে আছে,‘‘ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তিনি শহিদের মর্যাদা পাবেন।’’ সুবহানআল্লাহ। মানুষকে রোজকার সংবাদ জানাতে জানাতে এমন শহিদের মৃত্যু কেবল সৌভাগ্যবানেরই জোটতে পারে।
সৃষ্টিকর্তা ঘোষণা দিয়েই রেখেছেন। মানুষই শ্রেষ্ঠ। করোনা কোন ছাড় ! আমরা মানব জাতি বিজয়ী হবো।

পিবিএ/মোআ

আরও পড়ুন...