পিবিএ, কুড়িগ্রাম : করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে কুড়িগ্রামের দু’টি স্থলবন্দর। কাজ না থাকায় বেকার সময় পার করছে হাজার-হাজার শ্রমিক। জেলা প্রশাসক ত্রাণ সহায়তার আশ^াস দিলেও এখনো কোন প্রকার খাদ্য সহায়তা পায়নি শ্রমিকরা ।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর এবং রৌমারী শুল্ক স্থলবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করে এই স্থলবন্দর দুটিতে। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দু’সপ্তাহের অধিক সময় ধরে বন্দর দু’টি বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে এখানকার শ্রমিকরা। বন্দর চালুরত অবস্থায় দু’দেশের ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানী-রপ্তানী করছেন। ভারত থেকে পাথর,কয়লা, আদা আমদানী এবং বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট, ম্যালামাইন, প্লাস্টিক, প্রসাধনী সামগ্রী রপ্তানী হতো স্থলবন্দর দিয়ে। কয়েকদিন আগেও ছিল কর্মচঞ্চল পরিবেশ। ছিলো কয়েক হাজার শ্রমিকের হাক ডাক এবং কর্মযজ্ঞ। করোনার প্রভাবে বন্দর দু’টি এখন বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। বন্ধ রয়েছে পাথর ভাঙ্গার কোয়ারী এবং মেশিনগুলো, নেই তেমন ট্রাকের আনাগোনা। লোড আনলোড এবং পাথর ভাঙ্গা শ্রমিকরা দিনে ২০০/৩০০ টাকা আয় করে সংসার চালানো এসব শ্রমিকের দিন কাটছে হাত-পা গুটিয়ে। হাতের জমানো টাকা ইতিমধ্যে শেষ। এখন পর্যন্ত সরকারের খাদ্য সহযোগিতাও মেলেনি তাদের কপালে। পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে চলছে তাদের সংসার।
আমদানী রপ্তানিকারক সমিতি সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শ্রমিকদের এমন অবস্থায় উদ্বিগ্ন স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দরাও। দ্রুত এসব শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি বৃত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলনে, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বন্দরের অতি দরিদ্র শ্রমিকদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তালিকা করে ত্রাণ দেয়া হবে।
পিবিএ/ মমিনুল ইসলাম বাবু/মোআ